অবস্থা দেখে এখন যা মনে হচ্ছে তা হলো, অধিনায়কত্ব হারানোর বিষয়ে বিরাট কোহলির বিবৃতি নিয়ে অখুশি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ডের এক কর্মকর্তা। তার দাবি, কোহলি মিথ্যাচার করছেন। খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।
এর আগে সম্প্রতি বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, কোহলিকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটি মানেননি এবং নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে ওয়ানডের অধিনায়ক থেকেও তাকে সরানো হয়েছে। কারণ, সাদা বলের ফরম্যাটে দুই অধিনায়ক রাখা কঠিন বলে মত বিসিসিআইয়ের।
তবে গতকাল বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কোহলি। সেখানে আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার বলেন, ‘টেস্ট দল ঘোষণার ঠিক দেড় ঘণ্টা আগে বিসিসিআই থেকে আমাকে কল দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচক আমার সঙ্গে টেস্ট দল নিয়ে আলোচনা করেন। ফোনকল শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তিনি আমাকে জানান, পাঁচজন নির্বাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আমাকে আর ওয়ানডের নেতৃত্বে রাখা হবে না। এ বিষয়ে পূর্বে কোনো আলোচনা হয়নি।’
এ সময় টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছেন তিনি। বিরাট কোহলি বলেন, ‘যখন আমি বিসিসিআইকে জানাই যে, টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাই, তখন তারা সুন্দরভাবেই এটি গ্রহণ করেছে। আমি তাদের বলেছি, এটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।
আমি সেই সময় জানিয়েছিলাম, ওয়ানডে ও টেস্টে নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে চাই। আমার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট ছিলাম। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলাম যে, কর্মকর্তা এবং নির্বাচকরা যদি মনে করেন আমার অন্য ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত নয়, তবে তাও ভালো।’
ইন্ডিয়া টুডেকে বিসিসিআইয়ের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা জানাইনি বলে বিরাট কোহলি যে দাবি করেছে তা সে বলতে পারে না। সেপ্টেম্বরেই তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখন তাকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে নিষেধ করা হয়। কিন্তু সে নিজ থেকেই ছেড়ে দিলো। এখন সাদা বলে দুজন অধিনায়ক রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল আমাদের জন্য।’