ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা শহরে বিএনপি ও মহিলা আওয়ামীলীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসুচিকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল ইসলাম , ছাত্রলীগের আনারুল, সোহেল রানা ও জাহাঙ্গীরসহ উভয় গ্রুপের কর্মপক্ষে ২৫-২৬জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২০জন কে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৫টার দিকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় রুহিয়া থানা শহরের দোকান-পাট , ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা নিরাপদে আশ্রয় নেন।
রুহিয়া থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বাবু দাবি করে বলেন বিএনপি’র মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর গুলি বর্ষণ করা হয় এবং তাদের নেতাকর্মীদের মারধর ও মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আহত ছাত্রলীগ কর্মী মাহিমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে বিএনপি’র জেলা সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে রুহিয়া কর্ণফুলী সিনেমা হলের দিকে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয় এবং মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাদের ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের পঞ্চগড়ের আটোয়ারি ও ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবৃদ্ধ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্রুনে রুহিয়া থানা ওসি সোহেল রানা বলেন, কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। তবে ৫-৬জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনপ্রকার উত্তেজনা নেই৷