বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম নিয়ে কিছুই বলেননি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম আপনাকে চ্যালেঞ্জ করেছে, সে বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী—জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি তাকে (হিরো আলম) কিছুই বলিনি। আমি মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের জবাব দিয়েছি। সে প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে (উপনির্বাচন) করেছে, ভালো ভোটও পেয়েছে। তার সম্পর্কে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যা বলেছি, সেটা মির্জা ফখরুলের মন্তব্য নিয়ে।’
সেই প্রসঙ্গ টেনে গত শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই একটি কথা। হিরো আলম, সে আজকে প্রমাণ করেছে যে, আওয়ামী লীগ এই হিরো আলমের কাছেও কতটা অসহায়, যে তাকে (আওয়ামী লীগ) রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জিততে হয় ৬০০-৭০০ ভোটে।’
এর জবাবে একই দিন বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠলো তার! তিনি ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে। কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী বানিয়েছে। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে।’
গতকাল রোববার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের কাছে হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনের ৪৫টি কেন্দ্রের ভোট পুনর্গণনার আবেদন জমা দেন।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হিরো আলম।