তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বরিশালে ৫০ শতাংশের বেশি আর খুলনায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট কাস্ট হওয়ায় প্রমাণ হয়েছে, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জনগণ ভোট বর্জন করে নাই। আমি মনে করি, এ থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পার্টির বরিশাল ও খুলনায় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান ও রাজশাহী ও সিলেটে সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে কিন্তু দুই সিটি কর্পোরেশনেই বিজয়ীরা তাদের চেয়ে প্রায় তিনগুণ ভোট পেয়েছে। এতে তারা বুঝতে পেরেছে যে আগামী নির্বাচনেও তাদের কোনো ভরসা নাই। এ জন্য আগেভাগেই পাততাড়ি গুটিয়ে পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই হয়তো তারা সেই ঘোষণা দিয়েছে।’
বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীকে পেছন থেকে একজন ঘুষি মারার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে বা যারাই এটি করেছে সেটি নির্বাচন কমিশন তদন্ত করছে, প্রশাসন তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবকিছু ছাপিয়ে সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক যে অত্যন্ত সুন্দর শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিবৃতিকে নাকচ করে দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সমস্ত পত্রিকায় লিখেছে, সমস্ত টেলিভিশন রিপোর্ট করেছে, অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ভোট হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব এ ধরণের গৎবাঁধা কথা, একই টেপ-রেকর্ড থেকে বের হতে পারছেন না, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক সময় সহিংসতা-গণ্ডগোল হয়। সেই তুলনায় গতকাল একটি মডেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
নীতিমালা লঙ্ঘন করে আইপি টিভি, ইউটিউবে সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
সাংবাদিকরা এ সময় নীতিমালা লঙ্ঘন করে কিছু আইপি টিভি এবং ইউটিউবে কৌশলে সংবাদ প্রচার হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধিত কিম্বা অনিবন্ধিত কোনো আইপি টিভি কিম্বা ইউটিউব চ্যানেল সংবাদ প্রচার করতে পারে না বা প্রচার করা নিয়ম বহির্ভূত। এ কথা সত্যি যে কিছু আইপি টিভি, যার বেশিরভাগই অনিবন্ধিত এবং কিছু ইউটিউব চ্যানেল নানা কৌশল অবলম্বন করে সংবাদ প্রচার করছে। এটি আমাদের নজরে এসেছে পত্র-পত্রিকাতেও আমরা দেখেছি। এ ব্যাপারে খুব সহসা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাসকে নতুন প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি ‘মিলিটারি এলো গ্রামে’ উপন্যাস রচয়িতা শিবুকান্তি দাশকে ধন্যবাদ দেন এবং নিজে বইটি পড়বেন বলে জানান। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী এ সময় তার রচিত দু’টি গ্রন্থ মন্ত্রীকে উপহার দেন।