এথিস্ট ইন বাংলাদেশ নামক একটি ম্যাগাজিনে ধর্ম অবমাননা করবার অভিযোগে গত ১২ই ফেব্রুয়ারী সোমবার ২০১৮ ইং তারিখে সাভার সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী আদালতে হেফাজতে ইসলামীর কর্মী হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে একটি ধর্ম অবমানার মামলা করা হয়েছে। মামলার মূল আসামী ইয়াজ কাওসার সহ আরো ২৭ জন। সোমবার দুপুরে এই মামলা করা হয় বলে আমাদের আদালতের প্রতিনিধি জানান। মামলার নাম্বার ১২৮/২০১৮।
আদালত সূত্রে জানা যায় মামলার বাদী হাবিবুর রহমান “এথিস্ট ইন বাংলাদেশ” নামক একটি ইসলাম বিদ্বেষী ম্যগাজিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পেনাল কোডের ২৯৫ ধারাতে ধর্ম অবমাননার মামলা দাখিল করেন। এই মামলায় ইয়াজ কাওসার নামক এক লেখককে মূল আসামী দেখানো হয়। উল্লেখ্য ইয়াজ কাওসারের বিরুদ্ধে অনেক আগের থেকেই ব্লগে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ রয়েছে।
আরো জানা যায় যে এই উক্ত ম্যাগাজিনটি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় ইসলামী জনতার আবেগের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কদর্য ভাষায় ইসলামকে আক্রমণ করে লেখালেখি চালিয়ে আসছে। আরিফুর রহমান সম্পাদিত ও সেক্যুলার পাব্লিশার্স কর্তৃক প্রকাশিত এই ম্যাগাজিনটির বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্বেষের অভিযোগ বেশ পুরোনো। এই মামলাতে সর্বমোট ২৮ জন ব্যাক্তিকে আসামী করা হয় যারা হচ্ছেন মূল আসামী ইয়াজ কাওসার। পিনাকী দেব অপু , শাহাদাত হোসেন, প্রকাশক আরিফুর রহমান, সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেন শাওন , মোঃ তোফায়েল হোসেন, আদনান সাকিব, রুজভেল্ট হালদার, আবু হানিফ, সৈয়দ মোহাম্মদ সজীব আবেদ , এম ডি মেহেদী হাসান, সৈয়দ সানভী অনিক হোসেন ,এনায়েতুল হুদা, নাঈমুল ইসলাম, এম ডি আব্দুল্লাহ আল হাসান, কাজী মোঃ সাইফুল হক ,আশেফ আবরার টিটু , হুসেইন মোহাম্মদ পারভেজ , রিয়ানা ট্রিনা , মিল্টন কুমার দে, তামজিদ হোসেন, আবু তাহের মোঃ মুস্তাফা, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
এই ব্যাপারে বাদী হাবিবুর রহমান সাথে কথা যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই এথিস্ট ইন বাংলাদেশ ম্যাগাজিনটি ইসলামের শত্রু। এইখানকার লেখকেরা ক্রমাগতভাবে প্রতিদিন ইসলামকে নানাভাবে অপমান ও অপদস্ত করে যায় কিন্তু সরকার কিংবা তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় একটি কথাও বলে না”
তিনি আরো বলেন, “আল্লাহর জমিনে কোনো নাস্তিকের বাচ্চার ঠাঁই হবে না। আর ইয়াজ কাওসারকে দেশে নিয়ে এসে প্রকাশ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে শিরচ্ছেদ করতে হবে”
বাংলাদেশে তো প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদের আইন নেই বা পদ্ধতি নেই তাহলে তিনি কেন এমন দাবী করছেন, এই প্রশ্নের জবাবে জনাব হাবিবুর রহমান বলেন, ৯৮% মুসলমানের দেশে শরীয়া আইন করতে হবে, তা না হলে এই দেশে কোন সরকার টিকে থাকবে না।
এই ব্যাপারে মূল আসামীদের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এদিকে এই ঘটনার রেশ ধরে গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ছিলো অত্যন্ত সরব। সেখানে নানাবিধ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এই ব্যাপারে কোনো রকমের মন্তব্য করা হবে না বলে আমাদের প্রতিবেদককে জানান।