গল্পটা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। মৃত ঘোষিত সাত মাস বয়সী এক সন্তানকে নিয়ে তার অসহায় মায়ের আবেগের গল্প। সাজিয়ে-গুছিয়ে তা সিনেমা আকারে পর্দায় তুলে আনছেন নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার। নাম দিয়েছেন ‘মা’। আর সেই মায়ের ভূমিকায় চিত্রনায়িকা পরীমণি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয় ‘মা’ সিনেমার কাজ। এর মধ্যে মাতৃত্বের কারণে সাময়িক অবসর নেন পরী। তবে তার আগে শেষ সিনেমা হিসেবে ‘মা’র কাজ সম্পন্ন করেন। অবশেষে সিনেমাটি মুক্তির অনুমতি অর্থাৎ সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র লাভ করেছে।
নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার নিশ্চিত করেছেন, বিনা কর্তনেই ছাড়পত্র পেতে যাচ্ছে তার সিনেমাটি। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে তিনি বললেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সেন্সর বোর্ডের অন্যতম সদস্য অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ফোন করে ভূয়সী প্রশংসা করেন ছবিটির। জানান, বোর্ড সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে ছবিটিকে আনকাট ছাড়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
ছাড়পত্রের খবর শুনে খুশিতে বাঁধ মানছে না পরীমণির। একদিকে তিনি এখন মা, অন্যদিকে সিনেমার নাম ‘মা’, আবার সিনেমায় তার চরিত্রটিও মায়ের। সবমিলে মাতৃত্বের ভেতরে ডুবে থাকা এ নায়িকা বলেন, ‘‘আমি তো অনেক খুশি যে আনকাট সেন্সর পেয়েছে। এই সিনেমার জার্নিটা সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে আমার। ‘মা’ যখন শুটিং করি, তখন চার মাসের রাজ্য (পরীর পুত্র) আমার পেটে ছিলো। আর যখন মুক্তি পাবে, তখন ও আমার কোলে থাকবে। এটা যে কতটা আনন্দের অনুভূতি, বোঝানো যাবে না।”
উল্লেখ্য, অরণ্য আনোয়ার দেশের পরীক্ষিত নির্মাতাদের একজন। যিনি ‘আমাদের নুরুল হুদা’র মতো ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। তিন দশকের ক্যারিয়ারে ‘মা’ তার প্রথম নির্মিত সিনেমা। তাই আয়োজন-চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছেন না তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই বড় পর্দায় অরণ্যে পুলক (এপি)-এর ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি দিতে চান নির্মাতা।
ছবির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, ফারজানা ছবি, সাজু খাদেম, রেবেনা করিম জুঁই, শিল্পী সরকার অপু, সেতু , লাবণ্য, শাহাদাত হোসেন।