দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে তাদের নানা কীর্তি রয়েছে। দুইবার হয়েছে বিশ্বসেরাও। একবার ১৯৯৮ এবং ১৯৮৬ এরপর লম্বা সময় ধরে আর বিশ্বকাপ ট্রফির মুখ দেখেনি। আর্জেন্টাইন দলে প্রতিবারেই সব পজিশনে ভালো খেলোয়াড় নিয়ে আসলেও বিপত্তি ঠেকতো গোলবারের দায়িত্ব পালনকারীর ভুলে। কিন্তু ধীরে ধিরে যেন সেটাও কাটাতে শুরু করেছে। এবারের বিশ্বকাপ আসরে আর্জেন্টিনা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে তাদের ভরসার নাম এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। যে কিনা গোলবারের সামনে দেওয়ালের মতো দাঁড়িয়ে দলকে রক্ষা করে যাচ্ছে।
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদির বিপক্ষে দুই গোল হজম করার পরই যেন আরো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জ্বলে উঠে। গ্রুপ পর্বে মেক্সিকোর বিপক্ষে অসাধারণ কিছু সেভ। পরে শেষ ষোলো এর ম্যাচে তো অস্ট্রেলিয়ার কিছু মারাত্মক আক্রমণ আটকে দিয়ে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠালেন। সব শেষ শুক্রবার শেষ আটের খেলায় টাইব্রেকারে ডাচদের প্রথম দুই শট আটকে দিয়েই নিজেদের জয় কনফার্ম করে ফেলেন এই মার্টিনেজ।
তবে মার্টিনেজ যে শুধু বিশ্বকাপেই নিজে সামর্থ্যের প্রমাণ দিচ্ছে এমনটি নয়। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকাতে এই মার্টিনেজের কল্যাণেই ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকাতে কলম্বিয়ার বিপক্ষে তার অসাধারণ পেনাল্টি আটকে দিয়ে দক্ষতা পুরো পৃথিবীর জুড়ে প্রশংসিত হয়েছিল। যেখানে মার্টিনেজ তিনটি পেনাল্টি শট আটকে দিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছিল। মূলত গোলবারের সামনে তার চটপটে ভাব যিনি পেনাল্টি নিতে আসেন তার মনে বিভ্রান্তির উদ্রেক করে যে কারণে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেন তারা।
এদিকে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে জ্বলার অপেক্ষায় ছিলেন এই এস্টন ভিলার গোলরক্ষক। কোয়ার্টার ফাইনালে আবারও নেদারল্যান্ডসকে হতাশায় ডুবালেন আরেক আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। এর আগে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সার্জিও রোমেরো আর্জেন্টিনাকে এই ডাচদের বিপক্ষেই টাইব্রেকারে জিতিয়েছিলেন। এবার তিনি না থাকলেও তার কাজটা করলেন মার্টিনেজ।