ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যতটা শক্তিশালী, টি-টোয়েন্টিতে ঠিক যেন তার উল্টো। এমনকি টি-টোয়েন্টি যেন ঠিকমতো খেলতেই পারে না বাংলাদেশ, এমন কথাগুলো প্রচলিত ছিলো কিছুদিন আগেও। তবে বিগত কিছুদিন ধরে যেন পরিবর্তন এসেছে এই ধারণার। চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব দেওয়ার পর সবশেষ ইংল্যান্ড আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ানডেতেও যেন নতুন এক বাংলাদেশকে দেখেছে ভক্ত-সমর্থকরা।
টি-টোয়েন্টির জন্য যেমন আগ্রাসী আর আক্রমণাত্মক খেলা দরকার সেটিই যেন দেখা গেছো বাংলাদেশের ক্রিকেটার বিশেষত ব্যাটারদের মধ্যে। আগে টি-টোয়েন্টিতেও অনেকটা ধীরস্থিরভাবে ব্যাট করা বাংলাদেশ হঠাৎ করেই যেন নিজেদের খোলস ছেড়ে বেরিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে, সব ফরম্যাটেই টাইগাররা চড়াও হচ্ছেন প্রতিপক্ষের ওপর।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের এমন পরিবর্তন বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখছেন ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। টাইগার কোচ হাথুরুসিংহেও ক্রিকেটারদের এমন আগ্রাসী মনোভাবই দেখতে চান মাঠে। তবে আগ্রাসী ক্রিকেট সম্পর্কে সবার ভুল ধারণা আছে বলেও জানান এই লঙ্কান কোচ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন অ্যাওয়ে সিরিজের আগে সিলেটে তিনদিনের অনুশীলন ক্যাম্পের শেষদিন আজ (২৯ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে এসে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘সব সময় আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার মানসিকতা থাকবে আমাদের। এর মানে এই না যে, বল মেরে স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠাতে হবে। আগ্রাসী ক্রিকেট মানে হলো, যা-ই করি না কেন, ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে করতে হবে। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও আগ্রাসী থাকা, সেটা হোক দল বাছাই কিংবা ফিল্ড প্লেসিং কিংবা কী ধরনের বোলিং করা হবে। আমরা ছেলেদেরকে এই স্বাধীনতা দিতে যাই, যেন তারা মাঠে গিয়ে নিজেদের মেলে ধরতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওপেনার হলে ১০ ওভার ব্যাট করতে হবে, কীভাবে শুরু করতে হবে এবং ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশনের (৩০ গজের মধ্যে ফিল্ডার রাখার বাধ্যবাধকতা) সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে করতে হবে সেটাও ভাবতে হবে। মাঝে ব্যাট করলে পরিস্থিতি অন্যরকম থাকবে। কখনও চারজন বা পাঁচজন আউট হওয়ার পর আসতে হবে (ব্যাটিংয়ে)।’
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘কীভাবে শুরু করতে হবে, ‘তা নিয়ে অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি এভাবে অনুশীলন না করেন তাহলে উইকেটে গিয়ে থমকে যেতে হবে, যেটা আমরা চাই না। আমরা চাই কোন পরিস্থিতিতে কেমন খেলতে হবে সে বিষয়ে সবার মাথা পরিষ্কার থাকুক।’