খোরশেদ আলম শিমুল, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর অন্যতম নায়েবে আমীর, দেশের সর্ববৃহৎ উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন কওমী মাদরাসা দারুল উলূম হাটহাজারীর মুহাদ্দিস ও শিক্ষা পরিচালক, আলামা মুহাম্মদ হারুন (রাহ.) এর ইন্তেকালে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা ও কওমী মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপ আইন ২০১৩ স্থগিত করার দাবিতে গতকাল শনিবার (২৬ অক্টোবর) হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক তাৎণিক জরুরি সভা মহাসচিব আলামা জুনাইদ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, আলামা মুহাম্মদ হারুন ছিলেন একাধারে একজন বিদগ্ধ মুহাদ্দিস, মুফাসসির, শীর্ষ আলিম ও দেশ ও জাতির খেদমতে নিয়োজিত ইসলামের নিবেদিত প্রাণ খাদেম। তাঁর ইন্তেকালে ইসলামি শিক্ষা ও ঈমানী আন্দোলনের বিস্তৃত পরিসরে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা কখনো পূরণ হবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আমরা মহান আলাহর কাছে তাঁকে বেহেস্তের সর্বোচ্চ মর্যাদা জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করার জন্য দোয়া করছি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, ছাত্র-ভক্ত-অনুরক্ত-গুণগ্রাহী সকলকে সমবেদনা জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব, আলামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, সারা দেশের কওমী মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অব্যাহত প্রতিবাদ উপো সরকার যদি কওমী মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপ আইন ২০১৩ পাসের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তাহলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এই কালো আইনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং অচিরেই কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
বক্তব্যে জুনাইদ বাবুনগরী আরো বলেন, বিশিষ্ট আলেম ও রাজনীতিক হেফাজত নেতা মুফতি ওয়াক্কাস ও তরুণ আলিমেদীন, লেখক, সম্পাদক মুফতি হারুন ইজাহরসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী, নিরীহ আলেমদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা শীঘ্রই প্রত্যাহার করতে হবে।

 
                                            














 
                                     
                                     
                                     
                                    







