পুলিশের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রামেগঞ্জে অনেক দুর্বল মানুষ রয়েছে, তাদের রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। কখনো কারো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না, সে যতো বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন। নির্যাতিত মানুষের পক্ষে থাকবেন, জনকল্যাণে কাজ করবেন।
বুধবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার উৎখাতের নামে গত বছর তিন মাস ধরে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে তা মোকাবেলা করার জন্য পুলিশ বিভাগকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
পুলিশের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্বল মানুষের জমিজমার ওপর অনেক সময় প্রভাবশালীদের খারাপ নজর থাকে, তাদেরকে হেনস্থা হতে হয়। এসব প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমার দলের কেউ হলেও তাকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে আমাকে জানাবেন, আমাকে জানানোর দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের। আমি অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেইনি, দেবও না।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে এর দায়-দায়িত্বও পুলিশের ওপরই বর্তায়। আমরা সেভাবেই পুলিশকে গড়ে তুলছি।
মানুষের আস্থা-বিশ্বাস বজায় রাখতে পুলিশকে সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কল্যাণ, জনগণের মঙ্গলই আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য। আর সেটি করতে হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে হবে। সে দায়িত্ব সার্বিকভাবে পুলিশের ওপরই পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, কাজের সুবিধার্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে দেয়া হবে। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিষয়টা আমাদের ওপর ছেড়ে দেন, আমি দেখছি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বর্তমানে সমন্বয়ে কিছুটা গতি এসেছে, এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে।
পুলিশ বাহিনীর কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেজন্য তাদের যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার সরকার সেসব ব্যবস্থা করেছে।