ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে কুয়েতের দেওয়া প্রস্তাবে হতাশ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিনিয়র পরামর্শক ও জামাতা জ্যারেড কুশনার। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে নিযুক্ত কুয়েতি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত নিন্দা প্রস্তাবটি কুয়েতের আপত্তিতে আটকে গেছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলে রকেট হামলার কারণে হামাসের বিরুদ্ধে এই নিন্দা প্রস্তাব আনে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কুয়েত এই নিন্দা প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি।
গত মাসে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইল সংলগ্ন সীমান্তে বিক্ষোভরত অবস্থায় ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায় শতাধিক ফিলিস্তিনি। ওই ঘটনার পর পশ্চিম তীরে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব তোলে কুয়েত।
এক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে কুয়েতি সংবাদমাধ্যম আল রাই জানায়, বুধবার কুশনার ট্রাম্প প্রশাসনকে কুয়েতের অবস্থানের কারণে বিরক্তির বিষয়টি অবহিত করেছেন। কুয়েতি রাষ্ট্রদূত সালেম আব্দুল্লাহ আল-জাবের আল সাবাহকে কুশনার বলেন, ফিলিস্তিন নিয়ে কুয়েতের অবস্থান মার্কিন কর্মকর্তা এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে আমেরিকার মিত্রদের সামনে ব্যক্তিগতভাবে তাকে লজ্জিত করেছে।
পাচ-মিনিটের ওই বৈঠকটিতে কুশনার আরও জানান, কুয়েতের প্রস্তাব উত্থাপনের আগেই তিনি সৌদি আরব ও মিসরের সঙ্গে গাজার ঘটনাটি নিয়ে দেশ দু’টির একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া নিয়ে কাজ করছিলেন। কুশনার চান, চলমান সহিংসতায় কুয়েত কেবল তাদের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাই পালন করুক।
৩৭ বছর বয়সী কুশনার ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত। তিনি বলেন, হামাকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দেওয়া উচিত।
কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ক্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আল রাইয়ের প্রতিবেদনটি উড়িয়ে দেয়। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও কুয়েতের বন্ধুত্ব অনেক গভীর।