পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুগ্রুপের সংর্ঘষে ১২ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। একসঙ্গে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ারও দাবি করেছের সংশ্লিষ্টরা।
জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল সর্মথিত নেতা-কর্মী ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সর্মথিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে শনিবার (১৯ নভেম্বর) সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ রশিদ শেখ মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নাজিরপুর উপজেলা সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নাজিরপুর সদর ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক টুকুসহ অন্যান্য আহতরা নাজিরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গুলিবিদ্ধ ও আহতরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, দু-পক্ষের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে তবে গুলির ঘটনা ঘটেছে কিনা তা তদন্ত না করে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।
পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, উপজেলা কাউন্সিলে সম্ভাব্য সংর্ঘষের আশঙ্কা ছিল। তা মোকাবিলা করার জন্য দুইশত পুলিশ মোতায়েন ছিল। তবে যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে তা সামান্যই। দায়িত্বরত কোনো পুলিশই গুলির শব্দ পায়নি।
মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে তিনি অপারগ।
এটা স্থানীয় সংসদ সদস্যের হঠকারীতা বলে মন্তব্য করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিও সাবেক সংসসদ এ কে এম এ আউয়াল।
তিনি বলেন,মন্ত্রীর ভাই নজরুল ইসলাম বাবুল দলের প্রাথমিক সদস্য না হয়েও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার জন্য আসে। কাউন্সিলস্থলে লোক নিয়ে মহড়া দেয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।