‘প্রায় সাত বছর ধরে ওর সঙ্গে সম্পর্ক। এই সাত বছরে কখনো তার সম্মানহানি হয় এমন কোনো কথা কখনো কোথাও বলিনি। তার সম্মান যেনো ঠিক থাকে সর্বদা সেদিকে খেয়াল করে চলেছি। তার অনুমতি নিয়েই অন্য নায়কদের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু তাতে কি হলো? সে তো একের পর এক মন্তব্য করে আমার সম্মানহনি করছে। আমার ইমেজ নষ্ট করছে।’ বৃহস্পতিবার কথাগুলো বলছিলেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর জন্মদিন ছিল ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী বুবলীর। ওই দিন সংবাদমাধ্যমে জন্মদিন উপলক্ষে আলাপকালে জানান, শেহজাদ খান বীরের বাবার কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি। এমন খবরের পরই শাকিব খান একটি গণমাধ্যমে বলেন, তিনি বুবলীকে নাকফুল দেননি। তার সঙ্গে বুবলীর ছেলের বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে যোগাযোগও হয়না।
শাকিব বলেন, ‘কোনো ধরনের ডায়মন্ড নাকফুল আমি তাকে উপহার দিইনি। সত্যি কথা বলতে, তার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। উপহার দেওয়া কিংবা উইশ করা—কোনোটাই আমার পক্ষ থেকে হয়নি। সন্তানের প্রয়োজনে সে আমাকে বা আমি তাকে লিখলেও তা শুধু শেহজাদকে কেন্দ্র করে যতটুকু দরকার, ততটুকুই হয়, এর বাইরে আর কোনো কিছুর প্রশ্নই আসে না।’
নিজের বর্তমান স্ত্রী ও সন্তানের মাকে এভাবে হেয় করে মন্তব্য দেওয়াটা নিতে পারেনি বুবলী। নিতে পারেননি খোদ শাকিব ভক্তরাও। অনেকেই প্রশ্ন রাখছেন, নিজের ঘরের এ বিষয়গুলো শাকিব খানের উচিত ঘরের মধ্যেই সমাধান করা। স্ত্রীকে নাকফুল দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়টি কেনো গণমাধ্যমের বরাতে জানাতে হবে?
এদিকে বুবলীকে নাকফুল দেওয়ার খবরটি শাকিব খানের প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাস ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘কী যে মজা’। আর এর আগে জুড়ে দেন দশটি হাসির ইমোজি।
অপু বিশ্বাসের এই স্ট্যাটাসের পরে বুবলীও ছাড় দেননি। ‘বসগিরি’ সিনেমার এই সিনেমার নায়িকা কারো নাম উল্লেখ না করে গত ২৩ নভেম্বর ফেসবুকে ব্যক্তিগত প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘একজন হঠাৎ করেই বলে উঠলো ‘আরে ওই বেটি যে আপনাদের ছবিসহ নিউজ তার নিজের ফেইসবুক ওয়ালে বাঁধাই করে রাখছে, এটাই তো আপনার মজা। এতেই তো বোঝা যায় তার শয়নে-স্বপনে শুধুই আপনি, হাহাহা।’
বুবলীর এই স্ট্যাটাসের কিছুক্ষণ পরে আবার পাল্টা স্ট্যাটাস দেন অপু বিশ্বাস।