যৌতুক দাবি ও মারধরের অভিযোগে অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবরিন তার স্বামী জি এস বদরুদ্দিন আহমেদের (রাহী) বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সারিকার আইনজীবী মাসুদুর রহমান মাসুদ বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে সারিকা ও বদরুলের বিয়ে হয়। বিয়েতে ২০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। বিয়ের সময় সারিকার বাবা-মা বদরুদ্দিনকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ বাসার যাবতীয় আসবাবপত্র উপহার হিসেবে দেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই আসামি বদরুদ্দিন বাদী সারিকার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তাকে মারধর করতে থাকে। গত ৫ নভেম্বর আসামি বদরুদ্দিন ভিকটিম সারিকার কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুকের টাকা এনে দিতে বলে। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় সারিকার এক কাপড়ে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
গত ১৯ নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডিতে এ বিষয়ে এক সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে কথোপকথনের এক পর্যায়ে আসামি বলেন যে ব্যবসার জন্য তাকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। দাবি করা টাকা না দিলে সারিকার সঙ্গে সংসার করবে না এবং তাকে তালাক দিয়ে বেশি টাকা যৌতুক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলে দ্রত চলে যান।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি (২.২.২২) দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সারিকার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ২০০৬ সালে মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন সারিকা। তারপর একটি মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের কারণে বেশ আলোচিত হন। তখন থেকে বেশ ধারাবাহিকভাবেই মডেলিংয়ে যুক্ত ছিলেন।
সারিকা অভিনয় শুরু করেন ২০১০ সালে। নির্মাতা আশুতোষ সুজনের ‘ক্যামেলিয়া’ নাটকটি ছিল অভিনয়ে তার প্রথম কাজ। এরপর অভিনয় ও মডেলিংয়ে তুমুল ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তবে মাঝে অভিনয়ে তুলনামূলক কম দেখা গেছে তাকে। নতুন জীবন শুরুর পর আবারও অভিনয়ে তিনি সক্রিয় হবেন বলে প্রত্যাশা ভক্তদের।
এর আগে ২০১৪ সালে মাহিম করিম নামে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন সারিকা। তবে ২০১৬ সালে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। সেহরিশ আনায়া নামে তাদের এক কন্যাও রয়েছে।