Ajker Digonto
রবিবার , ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অর্থনীতি
  4. আইন- আদালত
  5. আইন-আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আলোচিত মামলা
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. চট্টগ্রাম বিভাগ
  13. জাতীয়
  14. ঢাকা
  15. তথ্য প্রযুক্তি

চলতি সপ্তাহেই ডিম আসবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রতিবেদক
আজকের দিগন্ত ডেস্ক
অক্টোবর ১৫, ২০২৩ ৫:০১ পূর্বাহ্ণ

আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই আমদানিকৃত ডিম দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডি লেক (ডিঙ্গি) সংলগ্ন ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে সাশ্রয় মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিমের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহে ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশকিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো, রফতানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ামুক্ত বলে সনদ দাখিল করতে হবে।’ দেশে এর আগে ডিম আমদানি না হওয়ায় এই সনদ পেতে আমদানিকারকদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা দেশে এখনও আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেইনি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুত আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরও ঊর্ধ্বগতির দিকে যায়, তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার টিসিবির মাধ্যমে দেশের এককোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে। তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি জুলাই থেকে চাল দেওয়া শুরু হয়। এ মাস থেকে পেঁয়াজ দেওয়া শুরু হলো, যা রাজধানীর মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা গরিব-দুখী, অসহায় মানুষের, যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে, তাদের কথা বিবেচনা করে এককোটি ফ্যামিলি কার্ড, অর্থাৎ ৫ কোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা জানি, বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয়ং পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে। কিন্তু আমদানিকৃত পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যার জন্য চাইলেও কমানো সম্ভব হয় না। তবে  আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘টিসিবির কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এককোটি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ মাসের শেষ নাগাদ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।’ এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেরও অংশ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা  উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ - অন্যান্য