ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একজন মার্কিন কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কয়েক মাস ধরে এটিএসিএমএস নামক এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন, যাতে কিয়েভ তার নিজ সীমান্তের বাইরে হামলা করতে পারে।
রোববার এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘এ ধরনের বিষয় ঘোষণা দিয়ে হয় না। ক্ষেপণাস্ত্র নিজেরাই নিজেদের উপস্থিতি জানান দেবে।’
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোকে এ ধরনের পদক্ষেপের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, এটি ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক জোট ন্যাটোর ‘সরাসরি অংশগ্রহণ’ হিসেবে গণ্য হবে।
তবে রোববার পর্যন্ত পুতিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। যদিও ক্রেমলিনের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদরা একে গুরুতর উত্তেজনা বৃদ্ধি বলে আখ্যা দিয়েছেন।
রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। আগস্টে কিয়েভ ওই অঞ্চলে ঝটিকা আক্রমণ করে।
বাইডেন প্রশাসন কার্যত ইউক্রেনকে জানিয়ে দিল যে, তারা বর্তমানে রাশিয়ার যে ছোট অংশ দখল করে রেখেছে, তা ধরে রাখার প্রচেষ্টাকে সহায়তা দেবে। দখলকৃত এ অঞ্চল ভবিষ্যতে আলোচনার জন্য ইউক্রেনের শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।
কিয়েভভিত্তিক ইউক্রেনীয় সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন সেন্টারের চেয়ারম্যান সের্হি কুজান বিবিসিকে বলেন, বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত দেশটির জন্য ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।
‘যুদ্ধের গতিপথ বদলাবে না, তবে এ সিদ্ধান্ত আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে,’ বলেন তিনি।
এটিএসিএমএস মিসাইল প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব পারি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের ইউক্রেনে যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন এটিএসিএমএস ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।