নারায়ণগঞ্জে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে জেলায়। চলতি বছর জেলায় নারীর প্রতি সহিংসতার ৩৮৪ ঘটনার মধ্যে ১০২টি ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় অবস্থিত সংগঠনটির জেলা কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তারা।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা সভাপতি রীনা আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রহিমা খাতুনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন সাবেক সভাপতি আঞ্জুমান আরা আকসির, সহ-সভাপতি প্রীতি কণা দাস, কৃষ্ণা ঘোষ, লিগ্যাল এইড সম্পাদক জেসমিন আজিজ আলো, সহ-সাধারণ সম্পাদক শোভা সাহা, প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরে নারী ও শিশুদের উপর হওয়া অপরাধের চিত্র তুলে ধরা হয়। তাদের দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ৩৮৬টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১০২টি ধর্ষণ, ১৬টি শিশু বলাৎকার, ৩১টি হত্যা, ২৭টি আত্মহত্যা, ২৬টি যৌতুকের জন্য নির্যাতন, ৪১টি যৌন হয়রানী, ১৫টি শ্লীলতাহানি, ২৭টি অপহরণ, ৪৯টি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ১১টি সাইবার ক্রাইম এবং ৪৯টি উত্ত্যক্তকরণের ঘটনা রয়েছে।
গত বছর জেলায় ৩৮৪টি এবং ২০২২ সালে ৩০৭টি নারী ও শিশু নির্যাতন ঘটনা ঘটেছে।
রীনা আহমেদ বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা এখন আর তৃণমূলে আটকে নেই। শহরাঞ্চলেও অহরহ এসব ঘটছে। বিশেষ করে ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফির ঘটনাগুলো লক্ষণীয়। তথ্যপ্রযুক্তি পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনেছে একই সঙ্গে অনেককে বিপথগামীও করেছে। যার ফলে এসব বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে আমরা মনে করছি।