জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ওয়াকআউট করার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার। তিনি বলেছেন, আমাদের সংসদ থেকে ওয়াকআউট করতে বাধ্য করা হয়েছে।
বুধবার রাত পৌণে ৮টার দিকে ওয়াকআউট করেন। এর পরপরই সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ”বিএনপি ‘সৎ’ উদ্দেশ্য নিয়ে সংসদে যোগ দিয়েছিল। আমরা সংসদে গিয়েছিলাম সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে। তোফায়েল আহমেদ পুরানো খবরের কাগজ নিয়ে পড়ে থাকতে চান। আমরা্ও চাইলে অমন উদাহরণ দিতে পারি।”এরপর তিনি ১৯৮১ সালের এক পত্রিকায় শেখ হাসিনার একটি সাক্ষকারের কথা উল্লেখ করেন।
এম কে আনোয়ার বলেন, ”আমাদের বলা হয়েছে, কোন প্রস্তাব থাকলে সংসদে এসে দেয়ার জন্য। এ জন্যই আমরা সংসদে এসেছি। জাতি আজ সংকটে। আর এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে সংবিধান ১৫তম সংশোধনের মাধ্যমে। আর ইশতিহারে এভাবে সংবিধান সংশোধনের কোন কথাও ছিল না। আজকে সংকট সমাধানের জন্য সবাই উন্মুখ হয়ে আছে।”
তিনি বলেন, ”সংসদে আলোচনার কোন জায়গা নেই। এখানে আলোচনার পর ভোট হয়। বাইরে আলোচনা করে সংসদে এসে পাস হয়। গ্রীসসহ বিশ্বের অনেক জায়গায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। বক্তব্য দিলে দেয়া যায়, কিন্তু সমাধানের জায়গায় যাওয়া যাবে না। সংসদের বাইরে আলোচনা করে সংসদে এসে তার সমাধান করা যায়। এ বিষয়ে নতুন করে বির্তক সৃষ্টি করতে চাই না।”
তিনি বলেন,তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০উপদেষ্টার মধ্য থেকে একটি অংশ নেয়া যায়। পরবর্তীতে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সরকার প্রধানের বিষয়টি সমাধান করতে পারলে সরকারের বাকি অংশ বাইরে থেকে নেয়া যেতে পারে। অথবা সরকার প্রধানের ওপরও দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। তাতে সমস্যা হবে না। সরকার প্রধান কে হবে, সে বিষয়ে ঐক্যমত্য হওয়া প্রয়োজন।
এমকে আনোয়ার জাতীয় সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানেন জনগন কী চায়। আমরা জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন করি। অন্যথায় একতরফাভাবে নির্বাচন করলে জাতি মুক্তি পাবে না।
বুধবার সংসদে যোগ দিয়ে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকারের রুপরেখা তুলে ধরেন জমিরউদ্দিন সরকার। এর জবাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বিভিন্ন সংবাদ পত্রের বরাত দিয়ে এই রুপরেখা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। একপর্যায়ে বিএনপির সদস্যরা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করার দাবি তুলে ওয়াকআউট করেন।