কাঞ্চন কুমার,কুষ্টিয়া।
চিকিৎসকের অবহেলায় সদ্য সিজারিয়ান শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে রোগীর ুব্ধ আত্মীয়-স্বজন হাসপাতালের স্টাফদের উপর হামলা ও ভাংচুর করার অভিযোগে প্রসুতি রোগীর স্বামীসহ ৬জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রসূতি রোগী জুগিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী রিক্তা খাতুন (২০) জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রসব বেদনা নিয়ে তিনি হাসপাতালের ৯নং গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক স্বাভাবিক প্রসবের জন্য অপো করতে বলেন; এরপর রাত ৩টার দিকে খুব খারাপ অবস্থা হলেও সেসময় ডাক্তার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, পরবর্তীতে বুধবার সকালে তড়িঘড়ি করে সিজার করে বাচ্চা ডেলিভারি করালেও বাচ্চাটিকে আর বাঁচানো যায়নি। রিক্তা আরও বলেন, যদিও সিজার করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বাচ্চাটি পেটের মধ্যে জীবিত আছে বলে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন।
ওয়ার্ড মাস্টার শরিফুল ইসলাম জানায় হামলা চলাকালে ৯নং গাইনি ওয়ার্ডের কিনার আসমা ও সিকিউরিটি ইয়াসমিন আহত হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্টার ডা. নাজমা জানান, ভর্তিকৃত রোগী রিক্তা খাতুনের ডেলিভারির েেত্র তার চিকিৎসার কোনো ত্র“টি ছিলনা। স্বাভাবিক ডেলিভারি না হওয়ায় যথারীতি তাকে সিজার করে ডেলিভারি করানো হয় এবং এসময় বাচ্চাটিকে পেটের মধ্যেই মৃত পাওয়া যায়। অথচ কোনোরূপ কারণ ছাড়াই রোগীর লোকজন হঠাৎ হামলা চালিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকসহ স্টাফদের উপর হামলা ও ভাংচুর করেছে।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্য বেলায়েত হোসেন জানান, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুর করেছে সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬জনকে আটক করেছে। এবিষয়ে হামলা ও সরকারী সম্পত্তি ভাংচুর’র অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কুষ্টিয়া ২৩ অক্টোবর ২০১৩।