Ajker Digonto
শুক্রবার , ২৫ অক্টোবর ২০১৩ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অর্থনীতি
  4. আইন- আদালত
  5. আইন-আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আলোচিত মামলা
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. চট্টগ্রাম বিভাগ
  13. জাতীয়
  14. ঢাকা
  15. তথ্য প্রযুক্তি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ খালেদার সমাবেশ : জেলা-উপজেলায়ও সমাবেশ হবে

প্রতিবেদক
Staff Reporter
অক্টোবর ২৫, ২০১৩ ৮:১০ পূর্বাহ্ণ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ খালেদার সমাবেশ : জেলা-উপজেলায়ও সমাবেশ হবে

অনেক নাটকীয়তার পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ ‘শর্তসাপেক্ষে’ সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানান।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট প্রায় দু’সপ্তাহ আগে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করে। তখন নয়াপল্টন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও পল্টন ময়দানে জনসভার অনুমতি চেয়ে মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করে তারা।
এদিকে একই দিন আওয়ামী লীগও রাজধানীতে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়। এই অজুহাত দেখিয়ে গত ২০ অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশ।
এরপর নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গতকাল দুপুরে আবারও ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করে বিএনপি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লা বুলুর নেতৃত্বে সংসদ সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আবুল খায়ের ভূঁইয়া ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ইব্রাহিম ফাতেমির কাছে এ আবেদনপত্র জমা দেন।
তবে এর ঘণ্টা চারেক পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের শর্তসাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের এ সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বক্তৃতা করবেন। ঢাকা মহানগর ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপিসহ জোটের নেতারাও বক্তৃতা করবেন। এছাড়াও সারাদেশের জেলা-উপজেলায় ১৮ দলের সমাবেশ হবে।
এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেয়ার পর আবার নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে মহানগর পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করে ১৮ দল। তবে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, শান্তি ও সমঝোতার স্বার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৮ দল। তবে বাধা দিলে পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশ করার ১৩ শর্ত : ১৩ শর্তে বিএনপিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ ও তাতে মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দফতর) আনোয়ার হোসেনের সই করা এক আদেশে এ অনুমতি দেয়া হয়। ডিএমপির অনুমতি সংক্রান্ত চিঠিটি বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী আহমেদের নামে দেয়া হয়।
শর্তগুলো হচ্ছে : (১) শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে সমাবেশ অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম ও মাইক ব্যবহার সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
(২) সমাবেশ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
(৩) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বা সড়কে বা সড়কের পাশে মাইক/প্রজেকশন ব্যবহার করা যাবে না।
(৪) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
(৫) পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে মঞ্চ তৈরি করতে হবে এবং সমাবেশ অনুষ্ঠান ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
(৬) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভ্যন্তরস্থ কোনো স্থাপনা কিংবা বৃক্ষরাজির কোনো ক্ষতিসাধন করা যাবে না।
(৭) সমাবেশ অনুষ্ঠান শুরুর দুই ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে এবং ১৭ ঘটিকার মধ্যে শেষ করতে হবে।
(৮) অনুমোদিত সময়ের পূর্বে কিংবা পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোনোপ্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে পরবর্তীতে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রদান করা হবে না।
(৯) সমাবেশ অনুষ্ঠান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং জনস্বার্থ, রাষ্ট্র ও জননিরাপত্তাবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না।
(১০) কোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড, দা, কুড়াল, কাস্তে, বল্লম ও দেশি অস্ত্র ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
(১১) মিছিলসহকারে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না।
(১২) উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাত্ক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলিয়া গণ্য হবে।
(১৩) জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে ওই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
বাড়াবাড়ি করলে পরিণতি ভয়াবহ—রিজভী : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ পুলিশের বর্তমান আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তাই হুশিয়ার করে বলছি, অন্যায়ভাবে বিরোধী দলের আর কোনো নেতাকর্মীকে হয়রানি করলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, বর্তমান সঙ্কট নিরসনে শান্তি ও সমঝোতার পথে আসুন; অন্যথায় আপনি গণতন্ত্রের ঘাতক হিসেবে বিবেচিত হবেন।
রিজভী আরও বলেন, ২৫ অক্টোবর (আজ) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ১৮ দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ হবেই।
তিনি বলেন, সরকার সভা-সমাবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের সুযোগ করে দেবে। কিন্তু আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম চট্টগ্রাম, বরিশাল ও বগুড়াতেও ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
এটি আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। কিন্তু সরকার অতীতের মতোই আমাদের সভা-সমাবেশ বানচাল করতে দলীয় নেতাদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে।
এ পর্যন্ত আমাদের প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মীর বাসায় তল্লাশির নামে ভাংচুর করেছে। বিএনপির ১২৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
আমরা সরকারের এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে আটক বিরোধী দলের নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

সর্বশেষ - বিনোদন