Ajker Digonto
শুক্রবার , ২৫ অক্টোবর ২০১৩ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অর্থনীতি
  4. আইন- আদালত
  5. আইন-আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আলোচিত মামলা
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. চট্টগ্রাম বিভাগ
  13. জাতীয়
  14. ঢাকা
  15. তথ্য প্রযুক্তি

পিছু হটল সরকার : মখা আলমগীর বলেছিলেন, সমাবেশ বিনষ্ট করা হবে

প্রতিবেদক
Staff Reporter
অক্টোবর ২৫, ২০১৩ ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ
পিছু হটল সরকার : মখা আলমগীর বলেছিলেন, সমাবেশ বিনষ্ট করা হবে

P1_pisu-hotlo-shorkerগতকাল সকালেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর দম্ভ করেই বলেছিলেন বিএনপিকে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। এ সময় তার স্বভাবসুলভ ভাষায় তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলেও মন্তব্য করেন। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই তারই অধীন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। আজ বিকেলে বহুল আলোচিত এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল সকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শুক্রবার নয়াপল্টনে জনসভা হবেই। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ওই জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
প্রায় একই সময় এনটিভিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। তিনি বলেন, খুন্তি, দা ও কোদাল নিয়ে যদি সভা-সমাবেশ করার চেষ্টা করে, তা হলে তা বিনষ্ট করা হবে। এর আগেও
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ বাহিনীর কর্তারা এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা বলেন, বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। এমনকি গণভবনে স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাশকতার আশঙ্কায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঢাকায় সমাবেশ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই কিছুটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। মূলত, ঢাকার সমাবেশ ঠেকাতেই পুলিশ অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করে। তবে সরকারের এই অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া।
দৃশ্যত তার দৃঢ়তার কারণেই এ দফায় সরকার ও তার পুলিশ বাহিনী খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি। সমাবেশ নিষিদ্ধ করার পরদিনই আগারগাঁওয়ে বিসিআইসি মিলনায়তনে ২০ অক্টোবর জাতীয় কনভেনশন আয়োজন করে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
চোখের সামনে পুলিশি আদেশ অকার্যকর হওয়ার পরও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি সরকার। সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার মধ্যেই গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন খালেদা জিয়া।
এতে অবশ্য আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের সুর নরম হয়নি। তারা পাল্টা সমাবেশ করার এবং বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়ার হুঙ্কার দিতে থাকেন। তবে শেষ পর্যন্ত সুবিবেচনার পরিচয় দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পিছু হটেছে। বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি ঢাকায় কোনো সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে দেশব্যাপী যে উত্কণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছিল তার আপাত অবসান হয়।
নয়াপল্টনে জনসভা হবেই—রিজভী
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শুক্রবার নয়াপল্টনে জনসভা হবেই। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ওই জনসভায় বক্তব্য দেবেন। তিনি গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রিজভী জানান, বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সমাবেশের অনুমতির জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে গেছে। অনুমতি না পেলেও সমাবেশ হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিধাহীন চিত্তে জানাচ্ছি, আমরা সমাবেশ করবই।’ এ সময় এক ফরাসি দার্শনিককে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘যেখানে অর্ডার ইস ইনজাস্টিজ, সেখানে ডিসঅর্ডার ইজ বিগিনিং অব জাস্টিজ।’
রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে এর মধ্যে ১২৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮৫০ জন নেতাকর্মীর বাসায় পুলিশ হানা দিয়েছে। সরকার ২৫ অক্টোবরকে সামনে রেখে ভীতি ও শঙ্কার পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ‘সমঝোতার পথ না ধরলে প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের ঘাতক হিসেবে বিবেচিত হবেন।’
পুলিশকে হুশিয়ারি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বারবার কর্মীদের বাসায় হানা দিলে পরিণতি শুভ হবে না। জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র একপক্ষের হয়ে চালালে জনগণ বসে থাকবে না। আইনসঙ্গত আচরণ করুন। নইলে উপযুক্ত জবাব পাবেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ, আসাদুল করিম।
সমাবেশ বিনষ্ট করা হবে—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ মোকাবিলায় সরকারের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। সর্বসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে দেশবাসীর উত্কণ্ঠিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। গতকাল এনটিভিকে দেয়া সাক্ষাত্কারে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাল সভা-সমাবেশে কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না। তারপরও যদি কেউ খুন্তি, দা ও কোদাল নিয়ে সভা-সমাবেশ করার চেষ্টা করে, তাহলে তা বিনষ্ট করা হবে।

সর্বশেষ - অন্যান্য