টমেটোর পুষ্টিগুনের সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে টমেটো খাওয়া হয় নানা রূপে। সালাদ হিসাবে তো আছেই, টমেটো দিয়ে তৈরি সসও এখন আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশে মাছের তরকারি কিংবা ডালের সাথেও টমেটো খাওয়া ভীষণ প্রচলিত| ভাল স্বাদ, উচ্চ পুষ্টিমান এবং বহুবিধ উপায়ে ব্যবহার যোগ্যতার কারণে সর্বত্রই এটি জনপ্রিয়।
• টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে। টমেটোতে লাইকোপেন নামে বিশেষ উপাদান রয়েছে, যা ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কোলন, স্তন, মূত্রাশয়, প্রোস্টেট ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
কেবল এই টুকুই নয়, সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে টমেটোর আরও একটি গুন।
• যারা টমেটো খান তাদের ব্রেইন স্ট্রোক বা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে- সম্প্রতি এই তথ্যই দিয়েছেন আমাদেরকে বিজ্ঞানীরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন যে টমেটো বেশ কার্যকর ভাবেই কাজ করে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা ব্রেইন স্ট্রোক প্রতিরোধে। কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীদের একটি সমীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে এই তথ্য। উক্ত সমীক্ষায় ফলমূল ও শাকসব্জি সমৃদ্ধ খাবারের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
নিউরোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রবন্ধে বলা হয়, রক্তে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান লাইকোপেন সবচেয়ে বেশি ছিল এমন এক হাজারের বেশি মাঝ বয়সী ব্যক্তিকে নিয়ে তারা গবেষণা করেন।
এতে দেখা গেছে,
• যারা নিয়মিত টমেটো খেয়েছেন তাদের ব্রেইন স্ট্রোকের আশংকা অন্যদের তুলনায় ৫৫ শতাংশ কমে গেছে। সমীক্ষায় আরো প্রমাণিত হয় যে, ফলমূল ও শাকসব্জি সমৃদ্ধ খাবার খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
এছাড়া ২৫৮ ব্যক্তিকে নিয়ে চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, এদের মধ্যে যাদের রক্তে লাইকোপেন সবচেয়ে কম তাদের প্রতি ১০ জনের মাঝে একজনের ব্রেইন স্ট্রোক করার আশংকা থাকে। অপর দিকে রক্তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি রয়েছে এমন ২৫৯ ব্যক্তিকে নিয়ে চালানো গবেষণায় দেখা যায়, তাদের প্রায় ২৫ জনের মাঝে একজনের ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
উল্লেখ্য, টমেটোতে সবচেয়ে বেশী পরিমাণে থাকে লাইকোপেন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে|