জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেই সিদ্ধান্তে অটল আছি। মরার আগ পর্যন্ত অটল থাকব।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে বিরোধী দলের সভাকক্ষে সংসদীয় দলের বৈঠক শেষে এরশাদ এ কথা বলেন।
আজ দুপুরে এরশাদ সংবাদ সম্মেলন করে দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে বাদ দিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারকে নতুন মহাসচিব নিয়োগ দেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল প্রত্যাখ্যান করে বলে জানান চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে সংসদীয় দলের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে সংসদীয় দলের বৈঠকে হাজির হন এরশাদ, তিনি নিজেও বর্তমান সংসদের বিরোধী দলের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত। বৈঠক শেষে সংসদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সংসদের গেটে সাংবাদিকদের কাছে এরশাদ এ কথা বলেন।
এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, এর আগে তিনি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের কথা বলেননি। তিনি বলেছেন, ‘স্যারের (এরশাদ) সঙ্গে সংসদীয় দল একমত হয় নাই। স্যার ও ম্যাডাম (রওশন এরশাদ) পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
অবশ্য এক ঘণ্টা আগে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁদের এই অবস্থানের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত এইচ এম এরশাদও নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছেন। দলের চেয়ারম্যান বলেছেন, জাপা ও সংসদীয় দল আলোচনা করে মহাসচিব বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবে।’
সংসদীয় দলের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ; যাকে গতকাল সোমবার রাতে এইচ এম এরশাদের অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। যদিও এরশাদ বলেছেন, তিনি ছাড়া অন্য কেউ সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক ডাকতে পারেন না। তাই রওশন এরশাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ।
গত রোববার রংপুরে এরশাদ তাঁর ভাই জি এম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান করেন। এর এক দিন পর দলের অপর একটি অংশ তাঁর স্ত্রী রওশনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে। এ নিয়েই মূলত এরশাদ ও রওশন এরশাদ পক্ষের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়।