রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের সমন গ্রহণ না করায় তা তার বাড়ির গেটে সাঁটানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাড়ির গেটের পাশে দেয়ালে আদালতের এক কর্মচারী ওই সমন সাঁটিয়ে দেন।
ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকালে সমন নিয়ে রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাড়িতে যাওয়া হয়। তবে তিনি (খালেদা জিয়া) ওই সমন গ্রহণ করেননি। পরে সেটি তার বাড়ির গেটে সাঁটিয়ে দেয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সোমবার সমন জারি সমন আদালত। আগামী ৩ মার্চের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি একজন আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার অনুমতি দেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা ওই আবেদনে বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছেন তিনি।
এসব সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত এবং প্রতিষ্ঠিত বিষয়। এ বিষয়ে নতুন করে বিতর্কের অবতারণা করায় তার অপরাধ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে মনে করা হচ্ছে। খালেদা সংবিধান লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন এবং রাষ্ট্রদ্রোহমূলক অপরাধ করেছেন। আইনি নোটিশ দেয়ার পরও তিনি ক্ষমা চাননি বা বক্তব্য প্রত্যাহার করেননি।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।