ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে এই শিল্পী ও সুরকারের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
হাসপাতালের চিকিৎসক সাইদুজ্জামান অপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল খন্দকার নুরুল আলমকে। তিনি নিউমোনিয়া ও ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্সে ভুগছিলেন।
গত শতকের ষাটের দশক থেকে গানে গানে সুর বেঁধে আসা খন্দকার নুরুল আলম বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের একজন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেই বেশি পরিচিতি।
দেবদাস, চন্দ্রনাথ, শাস্তি, ওরা এগারো জন, শঙ্খনীল কারাগার, বিরাজ বৌ, যে আগুনে পুড়ি’র মতো বহু জনপ্রিয় সিনেমার সংগীত পরিচালক ছিলেন তিনি।
এ দেশের চলচ্চিত্রে প্লে ব্যাকে আসা অনেক শিল্পীই নুরুল আলমের সুর কণ্ঠে নিয়ে বিখ্যাত হয়েছেন। ‘এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে’, ‘এত সুখ সইব কেমন করে’ আমি চাঁদকে বলেছি আলো দিও’সহ জনপ্রিয় বহু গানে তিনি সুর এবং কণ্ঠ দিয়েছেন।
১৯৩৯ সালে ভারতের আসামে জন্ম নেওয়া খন্দকার নুরুল আলম স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিবারের সদস্যরা দুপুরেই মরদেহ বাসায় নিয়ে গেছেন।
সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খন্দকার নুরুল আলমের মরদেহ শনিবার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের তত্ত্বাবধানে শহীদ মিনারে নেওয়া হবে।
জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত শহীদ মিনারে এই শিল্পীর কফিনে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
খন্দকার নুরুল আলমকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করার কথা প্রাথমিকভাবে ভাবা হচ্ছে বলে যন্ত্রসংগীত শিল্পী দৌলতুর রহমান জানান।