ত্বকের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয় চামড়ায় লালচেভাব, ছোট ফুসকুড়ি বা ব্রণ, র্যাশ ইত্যাদি সমস্যা। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে জানা চাই কিছু ঘরোয়া টোটকা।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য ব্যবহৃত বেশ উপযোগী কিছু ঘরোয়া উপাদানের বিষয় উল্লেখ করা হয়।
ত্বক সুন্দর না হলে নামীদামী মেইকআপও তা পুরোপুরি ঢেকে ফেলতে পারে না। সুন্দর মেইকআপের প্রথম শর্ত হল সুন্দর ত্বক। তাই প্রথমেই ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত। এখানে এমনই কিছু বিষয় উল্লেখ করা হল।
নিয়মিত সানস্কিন ব্যবহার: সৌন্দর্য ধরে রাখতে চাইলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে হবে। ঘর থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে এসপিএফ ১৫ বা তারও বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। কারণ ত্বকে কোনো প্রদাহ বা র্যাশের সমস্যা থাকলে সূর্যের তাপ তা আর বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আগে থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
গোলাপ জল ও চন্দন: ত্বকের প্রদাহ দূর করতে বেশ উপযোগী মিশ্রণ। এই মিশ্রণ তৈরি করতে প্রয়োজন হবে সমপরিমাণ লেবুর রস, চন্দন-গুঁড়া ও গোলাপ জল। ঘন পেস্ট তৈরি করে ত্বকে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই ত্বকের পরিবর্তন চোখে পড়বে।
কমলা ও কাঠবাদাম: একটি পাত্রে কমলার খোসার গুঁড়া এবং ভালোভাবে মিহি করে নেওয়া কাঠবাদামের গুঁড়া নিতে হবে। এর সঙ্গে পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এই পেস্ট স্ক্রাব হিসেবে কাজ করবে। পেস্ট দিয়ে ঘষে ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড ত্বক স্ক্রাব করতে হবে। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আলু: ত্বকের দাগ এবং অসম রং দূর করতে এমনকি চোখের নিচের কালচেভাব হালকা করতেও সাহায্য করে। তাই র্যাশ বা ব্রণের কারণে ত্বকের যে কোনো দাগ ও লালচেভাব দূর করতেও আলুর রস বেশ উপকারী।
একটি আলু কুচি করে চেপে রস বের করে নিতে হবে। এরপর রস তুলা বা ব্রাশের সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে।
কলার খোসা: একটি পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের উপর আলতো করে ঘষে নিতে হবে ১০ মিনিট। খোসা বাদামি হয়ে গেলে ত্বক পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে।
বাইরের দূষণ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব ইত্যাদি কারণে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই ত্বকের নিয়মিত যত্নে পাশাপাশি প্রচুর পানি পান ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।