বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আজ আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য আসামি পক্ষের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন।
এ মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ারও মারা গেছেন।
বর্তমানে এ মামলার আসামি ৯ জন। তারা হলেন, খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির এ চুক্তির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করা হয়।