আলোচনা, সমালোচনা আর নানা ঘটনায় জমে উঠেছে আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। কখনো কান্নাকাটি, দোষারোপ আবার কখনো আগামীর পরিকল্পনায় প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এবার মামলার হুমকিও এলো নির্বাচনকে ঘিরে। বরেণ্য অভিনেতা আলমগীর ফৌজদারি আইনে মিশা-জায়েদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানালেন।
মঙ্গলবার ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন পরিষদের পরিচিতি সভায় নিজের বক্তব্যে একথা জানান তিনি।
আলমগীর বলেন, মিশা-জায়েদ প্যানেলের সাংগঠনিক সম্পাদককে দেখলাম ফাইল তুলে দেখাচ্ছেন আর বলছেন, ‘দেখুন এখানে আলমগীর ভাইদের সাক্ষর আছে। আমিও ওই ফাইলটা একটু দেখতে চাই। তারা ফটোকপির মতো কিছু একটা হয়তো করেছে, আমি এখনও জানি না কি করেছে। আর আমি এটার জন্য ওদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কেস করবো।’
আগামী ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭ তম নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল অন্যটি মিশা-জায়েদ প্যানেল।
এবারের নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে শিল্পী সমিতি ভোটাধিকার হারানো ১৮৪ জন শিল্পী। সমিতির বিগত মিশা-জায়েদ কমিটি এই ১৮৪ জনের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়। তবে মিশা-জায়েদের দাবি, তাদের একক সিদ্ধান্তে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়নি। সমিতির ২১ জন কেবিনেট মেম্বার ও উপদেষ্টা কমিটির সর্বসম্মতিতেই বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের।
ওই উপদেষ্টা কমিটিতে ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, ফারুক, সোহেল রানা ও ইলিয়াস কাঞ্চন। আর কেবিনেট মেম্বারে ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও নায়িকা নিপুণ। জায়েদের দাবি, ভোটার তালিকা থেকে তিনি একা কাওকে বাদ দেন নি। এদের সবার সিদ্ধান্তেই বাদ দিয়েছেন তিনি। তারা সবাই ওই বাদ পড়া ভোটারদের সাক্ষাৎকার নিয়ে পূর্ণাঙ্গ সদস্য হওয়ার যোগ্য নয় বলে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সহযোগি সদস্য করেছেন। বাদ দেওয়ার ওই কাগজে সবার স্বাক্ষরও রয়েছে।
সবার সাক্ষর সম্বলিত সেই কাগজ গত ২৩ জানুয়ারি মিশা-জায়েদ প্যানেল পরিচিত সভায় সবার সামনে তুলে ধরেন জায়েদ খান। পাশাপাশি গণমাধ্যমেও বিষয়টি প্রচার করতে বলেন।