Ajker Digonto
মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অর্থনীতি
  4. আইন- আদালত
  5. আইন-আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আলোচিত মামলা
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. চট্টগ্রাম বিভাগ
  13. জাতীয়
  14. ঢাকা
  15. তথ্য প্রযুক্তি

ব্যাংকে আমানত নিম্নমুখী

প্রতিবেদক
আজকের দিগন্ত ডেস্ক
নভেম্বর ২৬, ২০২৪ ২:২৬ অপরাহ্ণ

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকেই ব্যাংক খাতে আমানত ছিল নিম্নমুখী। এখনো সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলোয় আমানতের স্থিতি কমে যাচ্ছে। একই সঙ্গে কমেছে তারল্যের স্থিতি। সঞ্চয়কারীদের ব্যাংকমুখী করতে অনেক ব্যাংকই আমানতের সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও ব্যাংকে আমানত প্রবাহ বাড়ছে না। বিগত সরকারের আমলে ব্যাংক খাতের লুটপাটের চিত্র এখন প্রকাশ্যে এসেছে। কয়েকটি ব্যাংকে সংকট আরও বেড়েছে। ফলে তারা গ্রাহকদের নিয়মিত টাকা দিতে পারছে না।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংকে নজিরবিহীন লুটপাট এবং সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক খাতের অস্থিরতার কারণে আমানত প্রবাহ হ্রাস পাচ্ছে। তবে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ব্যাংক খাতের কিছু সূচকের উন্নতি হয়েছে। একই সঙ্গে আমানত হ্রাসের প্রবণতাও কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আশা- আগামী বছর থেকে ব্যাংক খাত স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে পারবে। তবে খেলাপি ঋণের পারদ আরও উচ্চতায় ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, জুনে ব্যাংকে আমানতের স্থিতি ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। জুনের তুলনায় সেপ্টেম্বরে আমানত কমেছে ১ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুনের তুলনায় সেপ্টেম্বরে আমানত বেড়েছিল ২৮ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। চলতি বছরে আমানত তো বাড়েইনি, উলটো আরও কমেছে। এর মধ্যে মেয়াদি আমানত সামান্য বেড়েছে, কমেছে চলতি আমানত। জুনে চলতি আমানতের স্থিতি ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। ওই সময়ে চলতি আমানত কমেছে ১৭ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে কমেছিল ১৩ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে মেয়াদি আমানত বেড়েছিল ৪১ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের ওই সময়ে বেড়েছে ১৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে মেয়াদি আমানত কম বেড়েছে ২৫ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকে চলতি আমানতের প্রায় পুরোটাই ব্যবসা-বাণিজ্যের টাকা। চলতি আমানত কমা মানেই দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কম হচ্ছে। ব্যাংকে মেয়াদি আমানত খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মেয়াদি আমানতের কারণেই একটি ব্যাংক সবল থাকে। এ আমানত বেশি হলে তারল্যের প্রবাহ বেশি থাকে।

সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদের হার বাড়াচ্ছে। আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত তিন দফা নীতি সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। এর প্রভাবে ঋণ ও আমানতের সুদের হারও বেড়েছে। ব্যাংকগুলোয় এখন আমানতের সুদের হার সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশে উঠেছে। কোনো কোনো ব্যাংক জমা টাকা সাড়ে ৫ বছরে দ্বিগুণ দিচ্ছে। বিশেষ করে দুর্বল ব্যাংকগুলো চড়া সুদ দিচ্ছে। কিন্তু আমানতকারীরা আস্থা রাখতে পারছে না বলে আমানত জমা রাখছে না। ব্যাংকে আমানত প্রবাহ কম থাকায় ঋণের প্রবাহেও ভাটা পড়েছে। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়ে পড়ছে।

এদিকে ব্যাংকগুলোয় তারল্য বেশি থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তারা বেশি আমানত জমা রাখে। কারণ, কোনো কারণে সংকট দেখা দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সেগুলো তুলে নিয়ে সংকট মোকাবিলা করে। সাম্প্রতিক সময়ে তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা আমানতের পরিমাণ কমেছে। জুনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আমানতের স্থিতি ছিল ৯৩ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকায়। আলোচ্য সময়ে এ খাতে আমানত কমেছে ২৯ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা আমানতও তুলে নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের চাহিদা মেটাচ্ছে।

জুনে বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রেখেছিল ১২ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে এ খাতে আমানত কমেছে ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্যও কমেছে।

জুনে ব্যাংকগুলোয় তারল্য ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে তারল্য কমেছে ২৭ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা।

ব্যাংকে তারল্যের জোগান বাড়াতে সরকার ব্যাংক থেকে এখন কোনো ঋণ নিচ্ছে না। উলটো আগের নেওয়া ঋণ ব্যাংক খাতে ফেরত দিচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকার ব্যাংক খাতে তারল্য বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে সরকারের ঋণ স্থিতি কমেছিল ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ওই সময়ে তা কমেছে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। জুনে সরকারের ব্যাংক ঋণের স্থিতি ছিল ৪ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে স্থিতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকায়। তিন মাসে ঋণের স্থিতি কমেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ওই ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকে তারল্য বেড়েছে।

এদিকে রাজস্ব আয় ও বৈদেশিক অনুদান ছাড় কম হওয়ায় ব্যাংকে সরকারি খাতের আমানত প্রবাহ কমে গেছে। এ কারণে ব্যাংকে তারল্য কমেছে।

এদিকে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতির কারণে বাজারে টাকার প্রবাহ কমছে। গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে টাকার প্রবাহ বৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক দশমিক ৫৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণাত্মক হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা নগদ যেসব অর্থ তুলে নিয়েছিলেন, সেগুলো এখন ফিরতে শুরু করেছে। এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। জুনে ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে জনগণের হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে মানুষের হাতে থাকা টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ১ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকায়। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা, অক্টোবরে আরও কমে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া টাকা আবার ফেরত এসেছে ৩১ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা।

ব্যাংকের দুরবস্থার মধ্যে আমানতকারীরা এখন সরকারি সঞ্চয়পত্রমুখী হয়েছেন। তাদের সঞ্চয়পত্র কেনার প্রবণতা বেড়েছে। গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ছিল ঋণাত্মক ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা।

 

সর্বশেষ - বিনোদন

আপনার জন্য নির্বাচিত

সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে

দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন

ইন্টারের কাছে হার, বিদায়ের পথে বার্সা

দেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে: বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা

‘জোর দিয়ে বলতে পারি ভবিষ্যতে ঢাকায় একটা রাস্তাও ভাঙা থাকবে না’

আজ বৈঠকে বসছেন খালেদা – মজিনা

আজ বৈঠকে বসছেন খালেদা – মজিনা

বিডিআরের নির্দোষ সদস্যদের চাকরি পুর্নবহালের দাবি

এ বি সি : ফলশ্র“তিতে ডি— জেনারেল ইবরাহিম

এ বি সি : ফলশ্র“তিতে ডি— জেনারেল ইবরাহিম

বছরের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের বড় চমক

বছরের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের বড় চমক

‘সরকারের পতন ঘটাতে না পারলে কান ধরে ওঠবস করে বিদায় নেবেন’

সিটি নির্বাচন নিয়ে আ. লীগে দুই মত

ইসকন ইস্যুতে দেশি বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা