মঙ্গলবার বিকালে দিনাজপুরের গোর এ শহীদ ময়দানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যের সারমম:
বিরোধী দলের প্রস্তাবনা প্রসঙ্গ।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিরোধী দলীয় নেতার প্রস্তাব পশ্চাৎমুখী। আমরা চাই দেশ ও দেশের জনগণকে সামনে এগিয়ে নিতে আর তারা চায় জনগণকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে।
আওয়ামী লীগের সাফল্য।
মতায় এসে আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ মতায় গেলে উন্নয়ন করে। আওয়ামী লীগ চালের দাম কমিয়েছে। ফলশ্র“তিতে একজন দিনমজুর সারাদিন পরিশ্রম করে যা পায় সেটা দিয়ে সে ৭/৮ কেজি চাল কিনতে পারে। আর বিএনপির সময় তার পারিশ্রমিক দিয়ে একজন দিনমজুর মাত্র ২ কেজি চাল কিনতে পারতো। ১০ টাকা দিয়ে গরিব কৃষকদের জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে কৃষি ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষক পায়। শিাখাতে গুরুত্ব দিয়ে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। চল্লিশ ল ছাত্র-ছাত্রীকে উপবৃত্তি দেয়ার আওতায় আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যদি আবার মতায় আসে তাহলে প্রত্যেক জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে। আওয়ামী লীগ মতায় গিয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন করে মোবাইল ফোনের দাম কমানো হয়েছে। ২০০৮ এর নির্বাচনে যেভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছিলেন, আগামীতেও আপনারা ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ দিবেন। এ ব্যাপারে তিনি উপস্থিত জনতাকে হাত তুলে দেখাতে বলেন। তিনি বলেন ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
বিএনপি সরকারের দূর্নীতি ও সমালোচনা।
বিএনপি মতায় গেলে দুর্নীতি করে। সরকারে থেকে বিএনপি দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছিল হাওয়া ভবন থেকে। তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনি, তারা শুধু খাম্বা তৈরি করেছিল। তাদের দুর্নীতির টাকা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আমরা ফেরত এনেছি। তার মতে, যারা এতিমদের টাকা মেরে খায় তারা দেশের মানুষকে কী দেবে? বিরোধী দলীয় নেতা সাজার ভয়ে আদালতে যান না। যুদ্ধাপরাধিদের তারা মন্ত্রী বানিয়েছিলেন আমরা তাদের জেলে পুরেছি। জোট সরকারের আমলে ৬৩ জেলায় এক সঙ্গে বোমা হামলা হয়েছে, বাংলা ভাইদের সৃষ্টি হয়েছে, ২১ আগস্ট আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপির আমলে কোনো ধর্মের মানুষ শান্তিতে ছিল না।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী দিনাজপুরে ৩৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন।