রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বে থাকা আব্দুল জলিল দ্য ডেইলি স্টারকে দুইজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
এছাড়া, নগরীর পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা ও তার গাড়িচালক সংঘর্ষের সময় নিহত হন। তাদের মরদেহ সিটি করপোরেশন গেটের সামনে পড়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
রোববার দুপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় কালীবাড়ি মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এখন আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে টাউন হল পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জাহাজ কোম্পানি মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মিছিলটি টাউনহলের দিকে যাওয়ার সময় সিটি বাজার সংলগ্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পিস্তল, লাঠি, লোহার পাইপসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
সিটি বাজার ও পৌর বাজার এলাকায় দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।
বড় ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।
রংপুর মহানগর এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশের খবর পাওয়া গেছে। বদরগঞ্জ উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাসভবনে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।