কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া।
কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে এসে রাজপথ দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। কুষ্টিয়া শহরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে। মাঠ দখলে রাখতে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের মধ্যে একাধিক বেঠক হয়েছে।
গত ৫ বছর কুষ্টিয়ার রাজপথে বিএনপি-জামায়াতের তেমন কোনো তৎপরতা না থাকলেও সরকারের শেষ সময়ে এসে রাজপথে শক্তি দেখাতে চায় দলের নেতা-কমীরা।
দীর্ঘদিন পুলিশের শক্ত অবস্থানের কারণে কুষ্টিয়ার রাজপথে নামতে পারেনি জামায়াত-শিবির। ২৫ অক্টোবর ১৮ দলীয় জোটের ব্যানারে সমাবেশে বিপুল সংখ্যক জামায়াত-শিবির কর্মী অংশগ্রহণ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের একাধিক নেতা। বক্তব্যকালে জামায়াতের নেতারা হুশিয়ারি দেন। তারা বলেন, বাধা পেলে নেতা-কর্মীরা বসে থাকবে না। পাল্টা আঘাত হানবে তারা।
শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন বলেন, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে ১৮ দলীয় জোট। কোনো বাধা এলে তা প্রতিহত করা হবে। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে জামায়াত তাদের সঙ্গে মাঠে থাকবে। আগে নানা কারণে তাদের এড়িয়ে চললেও গত দুই দিন তারা প্রকাশ্যে আমাদের সঙ্গে মাঠে নেমেছে।
জামায়াতের দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, গত দেড় বছর মাঠে নামতে পারেনি তাদের দলের নেতা-কর্মীরা। এখন কোনো বাধা মানবে না তারা। বাধা পেলে সব শক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে তারা অগ্রসর হবে।
এদিকে গত কয়েক দিনে কুষ্টিয়ার রাজপথে বিএনপি-জামায়াতের তৎপরতা বাড়লেও আওয়ামী লীগের তেমন কোনো কর্মসূচী ছিল না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমান পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষন করে পুলিশ প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। জামায়াত-শিবির ১৮ দলের ব্যানারে শহরে নাশকতা চালাতে পারে বলে আমাদের নিকট তথ্য রয়েছে। তবে পুলিশ আগ বাড়িয়ে কোনো অ্যাকশনে যাবে না। তবে কেউ অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে শক্ত হাতে দমন করবে পুলিশ।