দেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত অভিনেত্রী ববিতা। তাঁর মতে, ডিজিটালের নামে বাংলাদেশি সিনেমা যে কোনদিকে যাচ্ছে—তা তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না।
সম্প্রতি দেশের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-দ্য ডেইলি স্টার ‘সেলিব্রেটিং লাইফ’ বা ‘জীবনের জয়গান’ প্রতিযোগিতার আয়োজনে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। আজীবন সম্মাননা প্রাপ্তির পর কথা প্রসঙ্গে চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ববিতা তাঁর এই উদ্বেগের কথা জানান।
ববিতা বলেছেন, ‘সেই পুতুল খেলার বয়সে আমি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। ছবিতে অভিনয় নিয়ে আমি বেশ সিরিয়াস ছিলাম। ভালো ছবিতে অভিনয়ের জন্য বরাবরই চেষ্টা করে গেছি। এটাই আমার সবকিছু ছিল। অনেকে হয়তো ভাবেন সিনেমায় অভিনয় করে আমি অনেক টাকা কামাব—এ বিষয়টা অবশ্য আমার ভেতরে কোনো দিন কাজ করেনি।’
ববিতা বলেন, ‘আমি বরাবরই ভালোমানের কাজ করে যেতে চেয়েছি। বরাবরই চেয়েছি নিজের অভিনীত সিনেমা নিয়ে দেশ-বিদেশের নামকরা সব চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেব। আমার অভিনীত ছবি দেখে সবাই হাততালি দেবেন—এ ব্যাপারটা আমার মধ্যে বেশ নাড়া দিত। কিন্তু এখন সে অবস্থা দেখছি না।’ তিনি বলেন, ‘গল্প নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছি না। যে ধরনের ছবি নির্মিত হচ্ছে, সেগুলো সে অর্থে যেমন ব্যবসায়িক সফলতা পাচ্ছে না; তেমনি দর্শকপ্রিয়ও হতে পারছে না। এখনকার চলচ্চিত্রের এ অবস্থা দেখে গভীর চিন্তার মধ্যে আছি। কবে যে আমরা এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসব, তা-ও বুঝতে পারছি না।’
ববিতা আরও বলেছেন, ‘আমি কিন্তু এক জীবনে অনেক ধরনের ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। সব ধরনের ছবিতে অভিনয়ও করেছি। এ জন্য অবশ্য পারিশ্রমিকের দিকেও কখনোই তাকাইনি। গল্প পছন্দ হলে বিনা পারিশ্রমিকেও কাজ করে দিয়েছি। এমন ছবিগুলোই আমাকে সুনাম এনে দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। এখন মনে হয়, আমি ভুল করিনি।’ তিনি বলেন, ‘ডেইলি স্টারের এ পুরস্কার আমাকে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করবে। এখন কীভাবে কী করব, তা নিয়ে যদিও অনেক চিন্তা-দুশ্চিন্তা কাজ করছে।’
আজীবন সম্মাননা প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, ‘একজন শিল্পী তাঁর পুরো জীবনে যা করেন তারই চূড়ান্ত স্বীকৃতি আজীবন সম্মাননা। আমার কাছে তা ভীষণ রকমের মূল্যবান। এমনিতে একটি ছবিতে ভালো করলাম, পুরস্কার পেলাম, সেটা ভিন্ন কথা।’