পুত্রের ওপর একটি মিথ্যা মামলার জের ধরে স্ত্রী ও তার বৃদ্ধ পিতা -কে পুলিশ হেনস্তা করেছে – এমন অভিযোগ করেছেন রাজধানীর ওয়ারী এলাকার বাসিন্দা কাজী আবুল বশীর।
তিনি জানান গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬.৩০ টার দিকে হঠাত করে পুলিশ সদস্যরা তাদের বাসা ঘেরাও করে ফেলে এবং তাঁকে এবং তার পুত্রবধূ নীলা আক্তার-কে পুলিশ আটক করে সূত্রাপুর থানায় নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, থানায় নিয়ে যাওয়ার পর প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা তাদেরকে সেখানে আটকে রেখে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করাকালে তাদেরকে নানা ধরনের বাজে ভাষায় গালিগালাজ করা হয়, তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ডাকা হরতাল-অবরোধ এর দিন রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় বিএনপি কর্মীরা মিছিল করে এবং সাধারণ পথচারী ও পুলিশের ওপর হামলা করে এবং পথে থাকা বেশ কয়েকটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, সাধারণ পথচারীদের ওপর গুলি চালায় এবং ককটেল বোমা বিস্ফোরণও করে। এ ঘটনায় বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন সাধারণ পথচারী নিহত হন। এ ঘটনার জের ধরে পুলিশ ধানমন্ডি থানাতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলাতে কাজী আবুল বশীর -এর পুত্র কাজী রুবেল হোসেনকে প্রধান আসামী করা হয়। মামলার এজাহারে দাবী করা হয় সূত্রাপুর থানা ছাত্রদল-এর সাবেক যুগ্ম সচিব কাজী রুবেল হোসেন-এর নেতৃত্বে তার সহযোগীরা এ কার্যক্রম চালিয়েছে।
তবে কাজী আবুল বশীর জানান তার পুত্র কাজী রুবেল হোসেন এই মামলা দায়ের হওয়ার আগেই যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং বর্তমানে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন। তিনি অভিযোগ করেন বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের রুখে দিতে আওয়ামীলীগ সরকারের পুলিশ এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার এ,এস,আই মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি এই মামলাটি তদন্তাধীন বলে জানান। কাজী আবুল বশীর ও তার পুত্রবধূ নীলা আক্তারের ওপর জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।