দেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের পাশাপাশি এবার পাকিস্তানের ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের লক্ষ্যে তাদের বিষয়ে তথ্য-উপাত্তসহ বিভিন্ন দালিলিক নথি সংগ্রহ করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানী ১৯৫ সেনাকর্মকর্তা যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে গঠিত কমিটির প্রধান ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা(আইও) মতিউর রহমান এ কথা বলেন। মতিউর রহমান আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসকে বলেন, “১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিষয়ে তথ্য-উপাত্তসহ বিভিন্ন দালিলিক নথি সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত নয়।”
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আজ বলেন, ১৯৫ যুদ্ধাপরাধী বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের জন্য সংস্থার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। সরকারের নির্দেশনা পেলে ও ক্ষেত্র প্রস্তত হলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত দেশের আসামীদের পাশাপাশি পাকিস্তানের ১৯৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হবে। আব্দুল হান্নান খান জানান, ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্য সাতটি বিভাগীয় পর্যায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্তের জন্য তদন্ত সংস্থার পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে। ওই সাত বিভাগীয় শহরেও তদন্ত সংস্থার কার্যালয় স্থাপন করে মামলায় তদন্ত করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।