সিরিজের শেষ ম্যাচেও দাবিয়ে রাখা গেলো না আফগানদের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে। আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৫ রান।
দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। তাই হোয়াইটওয়াশ এড়াতে তিন পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। সাব্বির, মোসাদ্দেক ও রুবেলকে বাদ দিয়ে দলে ভেড়ানো হয়েছিল মিরাজ, আবু জায়েদ ও আরিফুলকে। তাতেও আফগানদের আটকে রাখতে পারেনি। প্রমাণটা মেলে মিরাজের প্রথম ওভারেই। এই ম্যাচে ডাক পাওয়া মিরাজ ঘূর্ণি ভেলকি দেখাতে পারেনি। ফলে সেটা হয়ে পড়ে খুবই ব্যয়বহুল। আসে ১৮ রান!
উল্টো দিকে শুরুটা ভালো ছিল আফগানিস্তানের। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও উসমান গনি। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৫৫ রান। অষ্টম ওভারে স্বস্তি ফেরান নাজমুল ইসলাম। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন শাহজাদ। বিদায় নেন ২৬ রানে।
পরের ওভারে ফিরে যান আরেক ওপেনার ওসমান গনি। ১৯ রানে ব্যাট করতে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে বুক সমান উঁচু শর্ট বল দিয়েছিলেন আবু জায়েদ। হুক করার চেষ্টা করেছিলেন তার বলে। বল গিয়ে জমা পড়ে মুশফিকের হাতে। তাতেও থামেনি রানের চাকা। অপরপ্রান্ত ধরে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন অধিনায়ক আজগর স্ট্যানিকজাই। ১৭ বলে ৩ ছক্কায় করে ফেলেছিলেন ২৭ রান।
হুমকি হয়ে দাঁড়ানো আফগান অধিনায়ককে আর থিতু হতে দেননি আজকে জায়গা পাওয়া আরিফুল হক। ১৩তম ওভারে তাকে সাব্বিরের তালুবন্দি করান আরিফুল। আফগানদের রানের গতি আটকাতে ১৫তম ওভারে ফের আঘাত হেনেছিলেন আবু জায়েদ। মোহাম্মদ নবিকে ফেরান মাত্র ৩ রানে।
তাতেও আটকানো যায়নি। শেষ দিকে রানের চাকায় গতি আনেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ দিকে এই জুটিদে আঘাত হানেন সাকিব। নাজিবুল্লাহকে ফিরিয়ে ম্যাচের প্রথম উইকেট পান অধিনায়ক। ফেরেন ১৫ রানে। শেষ ওভারে নাজমুল ইসলামের ওভারটিতে বেশি রান নিতে পারেনি আফগানিস্তান। শফিকউল্লাহর উইকেটের বিনিময়ে তার ওভারে এসেছে তিন রান।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন নাজমুল ইসলাম। নেন ২ উইকেট। আবু জায়েদ ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া সাকিব ১৬ রান দিয়ে ও আরিফুল ১৩ রান দিয়ে নেন ১টি।