দুই দলের ফাইনাল নিশ্চিত আগেই। ফাইনালের আগে তাই ম্যাচটি ছিল নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার। প্রতিপক্ষকে যাচাই করে নেওয়ারও। আর সেখানে প্রস্তুতিটা দারুণ হয়েছে লঙ্কানদের। পাকিস্তানকে হারাতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাদের। সুপার ফোরে শতভাগ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই ফাইনাল খেলবে দলটি।
শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ১৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় লঙ্কানরা।
লক্ষ্য তাড়ায় শ্রীলঙ্কার শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। হারিস রউফ ও মোহাম্মদ হাসনাইনের তোপে দলীয় ২৯ রানেই হারায় ৩টি উইকেট। এরপর ভানুকা রাজাপাকশাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন পাথুম নিসাঙ্কা। স্কোরবোর্ডে ৫১ রান যোগ করে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন এ দুই ব্যাটার।
রাজাপাকশাকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন উসমান কাদির। তবে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে নিয়ে হাল ধরেন নিসাঙ্কা। ৩৩ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে আউট হন লঙ্কান অধিনায়ক। এরপর বাকি কাজ ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে সহজেই শেষ করেন নিসাঙ্কা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন নিসাঙ্কা। ৪৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৪ রান করেন রাজাপাকশা। শানাকার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও হাসনাইন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ২৮ রানের ওপেনিং জুটির পর ফখর জামানের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু এরপর লঙ্কান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পড়ে পাকিস্তান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকতে দলটি। ৫৮ রান তুলতে হারায় ৯টি উইকেট। তাই বলার মতো আর কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি। তবে এক প্রান্ত আগলে পুঁজি বাড়ানোর চেষ্টা চালান মোহাম্মদ নাওয়াজ। কিন্তু সতীর্থদের সাহায্য সে অর্থে না পাওয়ায় সাদামাটা সংগ্রহ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক বাবর। নাওয়াজ করেন ২৬ রান। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২১ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান হাসারাঙ্গা। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন প্রমদ মাদুশান ও মহেশ থিকসানা।