Ajker Digonto
শনিবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অর্থনীতি
  4. আইন- আদালত
  5. আইন-আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আলোচিত মামলা
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. চট্টগ্রাম বিভাগ
  13. জাতীয়
  14. ঢাকা
  15. তথ্য প্রযুক্তি

অর্থনৈতিক সংকট বাড়বে রাজনৈতিক অস্থিরতায়

প্রতিবেদক
আজকের দিগন্ত ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ ১২:৩৮ অপরাহ্ণ

করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে টালমাটাল সারা বিশ্বের অর্থনীতি। প্রতিটি দেশেই বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। এর ঢেউ লেগেছে বাংলাদেশেও। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা চলছে তা সহসাই কাটবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। সংকট উত্তরণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে শঙ্কা বাড়াচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা।

বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সংঘাত। ঘটছে হতাহতেরও ঘটনাও। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মাঠ দখলের ঘোষণায় রাজপথে আরও ভয়াবহ সংঘাতের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, রাজনৈতিক সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে দেশের অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়তে পারে। যা কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। তাই দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও সহনশীল হতে হবে। রাজপথে নয়, আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের উদ্যোগ নিতে হবে। জানা গেছে, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় করা হচ্ছে লোডশেডিং।

সময় কমানো হয়েছে অফিস-আদালতের। ডলার সংকটে বিলাসী পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। অতি প্রয়োজনীয় ছাড়া সব পণ্যের এলসি না খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্পে স্থগিত করা হয়েছে অর্থ বরাদ্দ। সরকারের নেওয়া এসব পদক্ষেপের সুফল জনগণ পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এ সংকটের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। রাজনৈতিক সংঘাত বাড়লে ব্যাহত হবে উৎপাদন, কমতে পারে কাজের ক্ষেত্রও। জানতে চাইলে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশে রাজনীতি বলতে কিছু নেই। চলছে অপরাজনীতি। যার শিকার হচ্ছি আমরা। করোনা মহামারি আমাদের অর্থনীতিকে প্রচণ্ডভাবে ধাক্কা দিয়েছে। তা সামলিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধে পুরো বিশ্বই এখন টালমাটাল। যার প্রভাব পড়েছে আমাদের অর্থনীতিতেও। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রভাব সবকিছুতে। ডলারের অভাবে অনেক পণ্যই আমদানি করা যাচ্ছে না।

এ সংকট নিরসনে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় সেই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। কিন্তু সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক সংঘাত আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। পরিস্থিতি সেদিকে গেলে তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, বর্তমান অর্থনীতি আরও সংকটে পড়বে। যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে ভয়াবহ করে তুলবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সেদিকে দৃষ্টি আছে বলে মনে হয় না। উলটো তারা রাজপথ দখলে হুমকি-পালটা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

দেশের অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে দলগুলোকে আলোচনায় বসতে হবে। সংকট নিরসনে সংলাপের বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কয়েক মাস পরেই শুরু হবে নির্বাচনি বছর। নির্বাচনি বছরে এমনিতেই দেশের অর্থনীতিতে একটা স্থবিরতা তৈরি হয়। বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রাজস্ব আদায় কমে যেতে পারে।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি কি হয় সেদিকে সবার নজর থাকে। তাই এখন থেকে যদি রাজনৈতিক অস্থিরতা ভয়াবহ রূপ নেয় তা সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে টালমাটাল করে দিতে পারে। তাই এমন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন না হয় যাতে মানুষেল জীবন-জীবিকা বিঘ্নিত হয়, সম্পত্তি নষ্ট হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন  বলেন, অর্থনীতি যখন বিপর্যস্ত হয় তখন রাজনীতি বিপন্ন হয়। কারণ রাজনীতিতে সহিংসতা, সংঘর্ষ সবসময় অনিবার্য হয়েছে এ দেশে। কিন্তু অর্থনীতি যদি ভালো থাকে, মানুষের পেট আর পকেট যদি স্বস্তি পায়, তখন রাজনৈতিক সহিংসতা হালে খুব একটা পানি পায় না। তিনি বলেন, করোনা এবং বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নানাবিধ সংকট তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে কিছু কিছু সংকট সৃষ্টি হয়েছে ব্যবস্থাপনার কারণে। যেমন ডিম আমদানি করতে হয় না কিন্তু সিন্ডিকেটের প্রভাবে এর দাম বেড়েছে। আর যখন যে সরকার থাকে সিন্ডিকেট তাদের অনুগত হয়ে যায়।

আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, দেশের মূল সংকট ব্যবস্থাপনা। অর্থাৎ শাসন শৃঙ্খলায় সমস্যা আছে। দেশে শাসক অনেক আছে কিন্তু শাসন নেই। নেতা অনেক আছেন কিন্তু নেতৃত্ব নেই। সমস্যাটা সেখানেই। রাজনীতিটাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা উচিত নয়। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির সঙ্গে রাজনীতিকে মিলিয়ে দেখা উচিত। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমাদের দেশে অর্থনীতি এমনিতেই সংকটে আছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হওয়ার কথা নয়।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিরোধী দলের মিছিলে সরকারি দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আক্রমণ করছে। এত অসহিষ্ণু হলে তো নানা দিকে সমস্যা হবে। সরকার সব সময় চড়াও না হয়ে একটু সহনশীল হলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

সর্বশেষ - বিনোদন

আপনার জন্য নির্বাচিত

সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে

দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন

নিশ্চয়তা দিচ্ছি আপনাদের একটা মজবুত অর্থনীতি দিয়ে যাব: প্রধান উপদেষ্টা

গাজীপুর সিটি মেয়রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে কাল

গাজীপুর সিটি মেয়রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে কাল

খালেদার উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে দুদকে তলব

খালেদার উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে দুদকে তলব

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সালমান, ‘বিগ বস’ সামলাবেন করণ

দীর্ঘ হরতালে ধ্বংসের পথে পোশাক শিল্প

দীর্ঘ হরতালে ধ্বংসের পথে পোশাক শিল্প

পাচারের পথে বেনাপোলে আটক ২৩

ভারতীয় কৃষকদের আত্মহত্যার নেপথ্যে কী

আলোচিত বাবা-মেয়ে হত্যাকাণ্ড: ধর্ষণ প্রমাণ করতে লাশের পাশেই বিকৃত যৌনাচার আর্জিনা-শাহীনের!

জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আনসার আল ইসলাম-এর ছয় জঙ্গি গ্রেফতার

ভারতের করিমগঞ্জে বিক্ষোভকারীদের বাধায় জকিগঞ্জ দিয়ে পণ্য আসা বন্ধ