অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলছে প্রথমবারের মতো, তাও আবার সরসরি বিশ্বকাপের মঞ্চে। তাসমান পাড়ের দেশটিতে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ রানের জয় পেয়েছে টিম টাইগার্স। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ম্যাচের ভেন্যু ঐতিহাসিক সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এসসিজি)।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পুরোনো ক্রিকেট মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামাটাই বাংলাদেশকে দিচ্ছে বাড়তি অনুপ্রেরণা। এই স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় টাইগাররা।
পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টের দুর্দান্ত নৈপুন্যে হোবার্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। যা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের পর মূল পর্বে বাংলাদেশ দলের প্রথম জয়।
২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। বল হাতে দারুন পারফর্ম করেছেন তরুণ হাসান মাহমুদও। যদিও উইকেট পাননি আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তবে গত এক বছরে মধ্যে তার মিতব্যয়ী বোলিং, নিজের রুপে ফেরার ইঙ্গিতদিয়েছে ভালোমতোই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের ৭টি টি-টোয়েন্টিতে কোন লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রতিন্দ্বন্দ্বীতা ছাড়াই সব ম্যাচ হেরেছে টাইগাররা। ২০২১ সালের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে কোন শীর্ষ দলকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। তারপরও বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে ভাগ্য দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে না থাকায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই লড়াইয়ে নামছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের মতো জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে পারতো দক্ষিণ আফ্রিকাও। বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পর হোবার্টে বৃষ্টির কারনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় প্রোটিয়াদের। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
এক পয়েন্ট হারানোর পর ভারত-পাকিস্তানের মতো জায়ান্টদের বিপক্ষে মুখোমুখি হবার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি জয় যেন বেশিই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
ম্যাচ জয়ের চাপ বাংলাদেশের উপরও পড়তে পারে বলে জানিয়ে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘তারা অনেক বেশি চাপে থাকবে কারণ এটি তাদের জন্য ডু অর ডাই ম্যাচ।’
সাকিব আরও বলেন, ‘একটি জয় আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা একটি পয়েন্ট হারিয়েছে এবং সেটি পূরণ করতে চাইবে তারা। তারা মরিয়া হয়ে খেলবে যেটা আমাদের সুযোগ করে দিতে পারে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টকে বিপদজনক বলে স্বীকার করেছেন সাকিব। তবে বাংলাদেশের ব্যটাররা প্রতিপক্ষের বোলিংকে ভালোভাবে মোকাবেলা করবে বলেই সাকিব বলেন, ‘হ্যাঁ, দুর্দান্ত পেস বোলিং আক্রমণ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। যদিও এই ফরম্যাটে তাদের বিপক্ষে আমাদের কোন সাফল্য নেই। কিন্তু অন্য ফরম্যাটে দেরিতে হলেও আমাদের ব্যাটাররা তাদের সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। এটিই তাদের হারাতে আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’
সাকিবের মতে নেদারল্যান্ডসের অনভিজ্ঞ বোলিং লাইন আপের সামনে নিজেদের মেলে ধরতে না পারার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। টপ অর্ডারের বেশিরভাগ ব্যাটারই ভালো শুরু করতে পারলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। এই ধরনের ব্যাটিং দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বমানের বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেও জানান সাকিব।