পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে ফরিদপুরে দুই ঘণ্টা আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে দু’টি চেয়ার ফাঁকা রেখে গণসমাবেশ শুরু হয়। তবে শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা ২টায়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ও দলের নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরে এই বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে বিএনপি।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর নগর বিএপির আহ্বায়ক এ এস এম কাইয়ুম। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়ার সঞ্চালনায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
গণসমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এদিকে, হাজার হাজার নেতা-কর্মী পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মাঠ। মাঠের দুই পাশের সড়কজুড়েও নেতাকর্মীদের অবস্থান দেখা গেছে।
বিভাগীয় সমাবেশের ২ থেকে ৩ দিন আগেই পাঁচটি জেলার নেতা-কর্মীরা ফরিদপুরে সমাবেশস্থলে অবস্থান নেন। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে তারা এই পন্থা অবলম্বন করেছেন। অনেকেই বাড়ি থেকে চিড়া-মুড়ি ও কলা নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। মাঠের মধ্যে তাঁবু টাঙিয়ে চলে আড্ডা ও স্লোগান।
মধ্যরাতে ওই তাঁবুর নিচেই ঘুমিয়ে রাত যাপন করেন নেতা-কর্মীরা। অনেকে চাদর, কাঁথা ও বিছানা নিয়ে রাত কাটান। এছাড়া স্থানীয় লোকজনের বাড়ির উঠান-বারান্দাতেও রাত কাটান সমাবেশে আগত নেতাকর্মীরা।

 
                    














 
                                     
                                     
                                     
                                    
 
                                            





