বাংলাদেশ থেকে উচ্চ মূল্যের আরও পোশাক নেবে ব্রিটিশ বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান প্রাইমার্ক। পরিবেশসম্মত উৎপাদনেও সহযোগিতা দিতে চায় ব্র্যান্ডটি। বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আমদানি বাড়ানোর এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ঢাকা সফররত প্রাইমার্কের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন প্রাইমার্কের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েটেড ব্রিটিশ ফুডস-এবিএফের প্রধান নির্বাহী জর্জ ওয়েস্টন। আলোচনায় অংশ নেন প্রাইমার্কের প্রধান নির্বাহী পল মার্সেন্টসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গত সোমবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিজিএমইএর পক্ষে নেতৃত্ব দেন সভাপতি ফারুক হাসান।
আলোচনায় প্রাইমার্কের প্রতিনিধিরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতায় পোশাকের চাহিদায় পরিবর্তন এসেছে। ফলে মূল্য সংযোজিত এবং উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনেও আরও মনোযোগী হতে হবে বাংলাদেশকে। এ বিষয়ে প্রাইমার্কের সরবরাহকারী কারখানাগুলোকে সহযোগিতা দিতে চান তারা। কয়েক বছর ধরে পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা উন্নয়নে বিজিএমইএর বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন প্রতিনিধিরা। কর্মীদের সুস্থতা, দক্ষতা উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতায় প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেন তারা।
বিজিএমইএ সভাপতি পোশাক খাতে কর্মপরিবেশের উন্নয়ন, পরিবেশগতভাবে টেকসই হওয়া, সার্কুলার ফ্যাশন উন্নয়নসহ বিভিন্ন অগ্রগতি প্রাইমার্ক প্রতিনিধিদের অবহিত করেন। ২০৩০ সালে পোশাক রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা, পোশাক খাতে মানবাধিকার এবং পরিবেশগত কমপ্লায়েন্স জোরদারে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি। ফারুক হাসান যুক্তরাজ্যে রপ্তানির বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি ডলারের পোশাক বিক্রি করে থাকে প্রাইমার্ক। বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি ১০০ কোটি ডলারের মতো। শতাধিক কারখানা থেকে পোশাক নেয় তারা। এর মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ উচ্চ মূল্যের কৃত্রিম তন্তুর পোশাক। সম্প্রতি ব্যবসা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাইমার্ক। ২০২৬ সালের মধ্যে শোরুমের সংখ্যা ৫৩০টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে ৬০টি শোরুম খোলা হবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৪ দেশে ৪১০টি শোরুম রয়েছে প্রাইমার্কের।