পোর্টাল বাংলাদেশ ডেস্ক।
২৫ অক্টোবর ২০১৩ শুক্রবার ঢাকা মহানগরের সোহরাওয়াদী উদ্যোনে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আগামী দুইদিনের মধ্যে এই সরকার যদি আলোচনায় না আসে তাহলে আগামী ২৭ অক্টোবর রবিবার ভোর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ৬০ ঘণ্টার লাগাতার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বক্তব্যের সারমর্ম:
জনগণকে ভয় পায় বলেই সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ড্রাগ দিয়ে দেশের যুব সমাজকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। যেন এ দেশ ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু আমরা বেঁচে থাকতে এ দেশকে ধ্বংস হতে দিব না। এই সরকারের ভরসা এখন পুলিশ, র্যাবের ওপর।। তাদের উপর আমাদের অভিযোগ নেই। তবে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এতদিন যা করেছেন সেটা মেনে নিয়েছি, কিন্তু ২৭ তারিখের পর থেকে এই সরকার অবৈধ। অতএব ২৭ তারিখের পর এই সরকারের নির্দেশ মানবেন না। আওয়ামী লীগ বলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকলকে চাকরি থেকে বিদায় নিতে হবে। কিন্তু বিএনপি কাউকে বিদায় করবে না বরং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সকলকে কাজে লাগাবো। আপনারা নিজেকে সৎ দাবি করেন, তাহল পদ্মা সেতু হল না কেন তার জবাব দিতেই হবে। হেলিকপ্টার নিয়ে যতই নৌকায় ভোট চান না কেন আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে নৌকা ফুটো হয়ে গিয়েছে? আপনি বিএনপিকে গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ি করেন কিন্তু বিএনপি গণতন্ত্র ধ্বংস করেনি বরং বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে, আর আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। এই নির্বাচন যে কোনোভাবে করতে দেয়া হবে না। সব দলের অংশগ্রহণেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে এর ফল শুভ হবে না। হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না আমাদের ফর্মুলা গ্রহণ করতে হবে।
দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষা ও আওয়ামী লীগ হটানোর জন্য আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের জয় সুনিশ্চিত। তিনি বলেন, ২৭ অক্টোবর রবিবার ভোর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ৬০ ঘণ্টার লাগাতার হরতাল। এরপরও বোধদয় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। রোববার থেকে শুরু হওয়া হরতাল পালন করার জন্য দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে তিনি রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ১৮ দলীয় জোটের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন।