 নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আবারো কঠোর কর্মসূচি দিতে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। আগামী ৪ থেকে ৬ নভেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশের রাজপথ, রেলপথ ও নৌ-পথ অবরোধ ও ৭ নভেম্বর ঢাকায় সমাবেশের কর্মসূচি দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আবারো কঠোর কর্মসূচি দিতে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। আগামী ৪ থেকে ৬ নভেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশের রাজপথ, রেলপথ ও নৌ-পথ অবরোধ ও ৭ নভেম্বর ঢাকায় সমাবেশের কর্মসূচি দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৈঠকে এ কর্মসূচি দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বাংলামেইলকে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যলয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে ১১টার দিকে শেষ হয়।
বৈঠক সূত্র আরও জানায়, আগামীকাল বুধবার ১৮ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার বৈঠক রয়েছে। তাদের সঙ্গে আলাপ করেই কর্মসূচি চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে।’
এছাড়া ঘোষিত ৩১ অক্টোবরের প্রতিবাদ সমাবেশ নয়পল্টনেই করার বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশ করতে না দিলে একদিনের হরতাল দেয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার ফোনালাপের বিষয়েও আলোচনা হয় বলে বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অপর এক সূত্রে জানা গেছে, ফোনলাপের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয় বৈঠকে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকলীন ‘সর্বদলীয় সরকারের’ বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেতাকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়েও আলোচনা হয়। কিন্তু নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্মত হলেই আলোচনা হবে তা জানিয়েছেন বেগম জিয়া। এখন প্রধানমন্ত্রী কি করেন তার জন্য অপেক্ষা করবে বিএনপি।
সরকারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনও চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে পিছু হটবে না ১৮ দলীয় জোট। সংলাপের মাধ্যমে সঙ্কট নিরসন না হলে রাজপথেই দাবি আদায়ে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হবে বলেও আলোচনা হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, বিরোধী দলকে ছাড়াই নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। যেদিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে সেদিন থেকেই সর্বাত্মক কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আরএ গনি, ড. খন্দকার মোশররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, এমকে আনোয়ার, সারোয়ারী রহমান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বও চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 
                                            














 
                                     
                                     
                                     
                                    








