ঢাকা টেস্টে ইনিংস ও ৮ রানে হেরে টি-টোয়েন্টির পর টেস্টেও ধবলধোলাই বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন মাঠে খেলা না গড়ালেও এতো বড় ব্যবধানের হার বাংলাদেশকে লজ্জায় ডুবিয়েছে।
চট্টগ্রাম টেস্ট হারের পর ঢাকা টেস্টে হার এড়ানোর মোক্ষম সুযোগ ছিল বাংলাদেশের, কারণ বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচের প্রায় অর্ধেক পণ্ড হয়েছে। কিন্তু দুই ইনিংসে ব্যাটারদের মলিন পারফরম্যান্স শেষ পর্যন্ত হারই জুটিয়েছে।
পাকিস্তানের ৩০০ রানের জবাবে ফলো-অনে পড়লে ফের ব্যাটিং বিপর্যয় দেখা দেয়। ২৫ রানে ৪ উইকেটের পতনের পর বাংলাদেশের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
৫ম উইকেটে মুশফিক-লিটনের ৭৩, ৬ষ্ঠ উইকেটে মুশফিক-সাকিবের ৪৯ ও ৭ম উইকেটে সাকিব-মিরাজের ৫১ রানের পার্টনারশিপ হার এড়াতে সাহায্য করে। লিটন ৪৫ ও মুশফিক ৪৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেও সাকিব তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৭তম অর্ধশতক।
যদিও পাকিস্তানের রান থেকে ১৫ রান দূরে থাকতে মিরাজ (৭০ বলে ১৪ রান) এলবিডব্লিউ হয়ে যান ‘আনকোরা বোলার’ বাবর আজমের স্পিনে। এতে আবারও হারের শঙ্কা জেগে ওঠে। পরের ওভারে সাকিব বোল্ড হয়ে যান প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট শিকার করা সাজিদ খানের বলে, যিনি এই ইনিংসে পেয়েছেন ৪টি উইকেট। খালেদ আহমেদ ৭ বলে ০ ও তাইজুল ইসলাম ৩১ বলে ৫ রান করে বিদায় নিলে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচের আর মাত্র ৫.৩ ওভার বাকি থাকতে সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৫ রান। যেখানে ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশের দরকার ছিলো আর মাত্র ৮ রান।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিনে ৭ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করা বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে মাত্র ৮৭ রান করে। ফলে ফলোঅনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে নামে মুমিনুল হকরা। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের অফ স্পিনার সাজিদ খান শিকার করেন ৮ উইকেট। এর আগে ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৩০০/৪ ডি. (৯৮.৩ ওভার)
বাবর ৭৬, আজহার ৫৬, রিজওয়ান ৫৩*, ফাওয়াদ ৫০*, আবিদ ৩৯,
তাইজুল ২৫-৬-৭৩-২, খালেদ ১৭.৩-৫-৪৯-১, এবাদত ২৩-৩-৮৮-১
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৮৭/১০ (৩২ ওভার)
সাকিব ৩৩, শান্ত ৩০, লিটন ৬
সাজিদ ৪২/৮, শাহীন ৩/১
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস : ২০৫/১০ (৮৪.৪ ওভার)
সাকিব ৬৩, মুশফিক ৪৮, লিটন ৪৫, মিরাজ ১৪
সাজিদ ৮৬/৪, শাহীন ৩১/২, হাসান ৩৭/২