নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার চার্জ গঠন শুনানি পিছিয়েছে। চার্জশিটের কপি না পাওয়ায় আসামি পক্ষের আইনজীবীদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি চার্জ গঠনের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
এছাড়া সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেন, র্যাবের চাকুরিচ্যুত তিন কর্মকর্তার জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাত খুনের দুটি মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা পেছানো হয়।
আদালতের পাবলিক প্রশিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বছরের ১৭ জুন সাত খুনের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন র্যাব-১১ এর চাকরিচ্যুত অধিনায়ক ও অবসরে পাঠানো সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল তারেক সাঈদ।
৪ জুন র্যাব-১১ এর উপ-অধিনায়ক ও অবসরে পাঠানো মেজর আরিফ হোসেন ও পরদিন ৫ জুন নৌ বাহিনীর কমান্ডার এমএম রানা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন।
৩০ এপ্রিল বিকালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয় জন এবং ১ মে সকালে আরেকজনের লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের শ্বশুর ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাব তাদের হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন।
পরে এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তবে ভারতে পালিয়ে যায় নূর হোসেন।
সাত খুনের ঘটনার পরেই আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা তারেক সাইদ ও তার অধস্তনদের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে গত ১৬ মে রাতে তারেক সাঈদ ও আরিফ হোসেন এবং ১৭ মে এম এম রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। র্যাবের ওই তিন কর্মকর্তাকে প্রথমে প্রত্যাহার এবং পরে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
















 
                                     
                                     
                                     
                                    

 
                                            



