ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে থাকা উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করেছেন অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তা। ছয় বছর পর তার সঙ্গে সাক্ষাত করলেন অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তারা। অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এসবিএসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
সুইডেনে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠার পর ২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে আছেন সাড়া জাগানো বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ। তবে ধর্ষণের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন তিনি। তার আশঙ্কা, সুইডেনে গেলে সুইডিশ সরকার তাকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ করবে। আর যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচারের নামে মৃত্যুদণ্ড দেবে।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের দুইজন কর্মকর্তা লন্ডনস্থ ইকুয়েডর দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করতে যান। ছয় সপ্তাহ আগে অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কারও সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও ছিল না।
অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত অ্যাসাঞ্জের আশংকা গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্র পাঠানো হবে তাকে। দূতাবাসে অবরুদ্ধ থাকার পর এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়া থেকে কেউ দেখা করতে আসলো বলে মনে করা হচ্ছে।
অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী দলের সদস্য জেনিফার রবিনসন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে অস্ট্রেলীয় সরকারের প্রতিনিধি আজ দূতাবাসে এসেছিল।অ্যাসাঞ্জ খুবই করুণ পরিস্থিতিতে আছেন। কোনও অভিযোগ ছাড়াই সাড়ে সাত বছর আটকা পড়ে আছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে এমন আশঙ্কায় বন্দি আছেন তিনি। আর এই আশঙ্কা অমূলক নয়। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্যেও এটা স্পষ্ট।’