নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের তৃতীয় দফায় ফের জামিনের আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন দীর্ঘ ১ ঘণ্টা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, মহসিন মিয়াসহ শতাধিক আইনজীবী।
তারা আদালতকে বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ মামলা দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। এবার তাদের জামিন দিন। মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের বিষয়ে তারা বলেন, মামলার এজাহারে তাদের নাম ছিল না। আর এজাহারভুক্ত দুই আসামি ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন। কাজেই তারাও জামিন পাওয়ার হকদার। অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ প্রদান করেন। এদিন জামিন শুনানি উপলক্ষে আদালত পাড়ায় নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। এর আগে দুই দফায় তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে চাল, পানি, খিচুড়ি ও নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ। অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার ৪৫০ জনের মধ্যে রিজভী, অ্যানিসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ১৪ আসামির দুই দিনের রিমান্ড এবং বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ৮ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ। পরদিন দুপুরে তাদের গ্রেফতার দেখায় ডিবি পুলিশ। ৯ ডিসেম্বর বিকেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।