ডলার সাশ্রয় ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে আমদানি, শিল্পের কাঁচামাল ও কৃষি উপকরণ পণ্যের আমদানি মূল্য পরিশোধে সময় বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সোমবার (২৬ জুন) দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, শিল্পের কাঁচামাল, ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানির মেয়াদ ১৮০ দিনের পরিবর্তে ৩৬০ দিন করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের আমদানি মূল্য চলতি বছর ৩০ জুনের পরিবর্তে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারবে। তবে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে নেওয়া ঋণে আমদানি মূল্য পরিশোধে এ সুযোগটি থাকবে না।
ডলার সংকটে আমদানির দায় পরিশোধ করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। এ কারণে এক দিকে অনিষ্পন্ন এলসির পরিমাণ বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে বিলম্বিত এলসির দায়ের পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিনিষেধের পাশাপাশি নতুন করে কঙ্খিত হারে ডলার সংস্থান না হওয়ায় পণ্য আমদানি করতে নতুন এলসি খোলার হারও ইতোমধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শিল্পের কাঁচামাল ও কৃষি উপকরণ পণ্যের আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়ালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।