সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের দিয়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠনের রূপরেখা জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছে বিরোধী দল।
বুধবার সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করেন। এ বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান ও অনুরোধ জানান।
জমির উদ্দিন সরকার বলেন, “নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি সুরাহা হওয়া দরকার। এ জন্য বিএনপি ১৮ দলের পক্ষ থেকে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি প্রস্তাব আকারে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে উত্থাপন করছি।“
তিনি বলেন, “১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দু‘টি নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এক সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, আরেক সরকারের অধীনে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে। এ দু‘টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ জন উপদেষ্টার মধ্য হতে সরকারী দল মনোনীত ৫ জন ও বিরোধী দল মনোনীত ৫ জনকে দিয়ে ১০ জনের সরকার গঠন হতে পারে। আর আলোচনার মাধ্যমে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে সরকার প্রধান করা যেতে পারে। এটি খালেদা জিয়া, বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে প্রস্তাব।“
ব্যরিষ্টার জমির বলেন, “আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের প্রস্তাব গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে দ্রুত আলোচনার ব্যবস্থা করবেন। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি ও অনুরোধ করছি। বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার আগে সংসদে নির্বাচনকালীন সরকারকে নির্বাচিত করে দিতে পারেন।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের কথা বলেন। সংবিধানের ৫৭ ও ৫৮ ধারা যেভাবে সংশোধনী করা হয়েছে, সে অনুযায়ী নির্বাচন করা হলে, গণতন্ত্রের ভবিষ্যত অন্ধকারাচ্ছন্ন। এ জন্য যেভাবে গণতান্ত্রিক ধারা চালু হয়েছে তা অব্যাহত থাকুক। এটি জনগনের ইচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এটি গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেবেন এটি আমাদের প্রত্যাশা।”
তাঁর বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ প্রস্তাবটি সংসদে আইনানুগভাবে পেশ করার আহ্বান জানান।
এদিকে তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের পরিপেক্ষিতে জমির উদ্দিন বলেন, “প্রস্তাবটি ছিলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু তোফায়েল সাহেব নাতিদীর্ঘ বক্তব্য দিয়ে আমাদের প্রস্তাব উড়িয়ে দিলেন। আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের পক্ষ থেকে নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। আজকে যদি পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিতে চান, দিতে পারেন। হাজার কথা বলতে পারেন।
এছাড়া এ বিষয়ে এম কে আনোয়ার বলেন, “আমাদের বলা হয়েছে, কোন প্রস্তাব থাকলে সংসদে এসে দেয়ার জন্য। এ জন্যই আমরা সংসদে এসেছি। জাতি আজ সংকটে। আর এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে সংবিধান ১৫তম সংশোধনের মাধ্যমে।”