পোর্টাল বাংলাদেশ ডেস্কঃ
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ বাণিজ্য খাতের উন্নয়নে বিদেশি সহায়তা কম পায় । সুসংহত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো না থাকার পাশপাশি কার্যকর বাণিজ্যনীতির অভাবসহ বেশকিছু কারণকে এজন্য দায়ী করছে গবেষণা সংস্থা সিপিডি। আর বেসরকারিখাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, ব্যবসা সম্পর্কিত নীতি প্রণয়নে তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো দরকার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে, সিপিডি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব তুলে ধরা হয়। গত কয়েক বছরে সারা বিশ্বে যখন ব্যবসা সহায়তা বা এইড ফর ট্রেড বেড়েছে তখন বাংলাদেশে তা কমেছে।
আর যে পরিমাণ অর্থসহায়তা আসে এখাতে তার বেশির ভাগই খরচ হয় বাণিজ্যনীতি প্রণয়নে এবং আইন কাঠামোতে। টেকসই উৎপাদন ও আর্থিক কাঠামো সংস্কারে ছাড় করা হয় খুবই অল্প পরিমাণ অর্থ। আরও লক্ষ্যণীয় যে প্রতিশ্রুতির তুলনায় দিন দিন দাতা সংস্থাগুলোর অর্থছাড়ের পরিমাণ কমছে। এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় সিপিডি আয়োজিত বাংলাদেশে “ব্যবসা সহায়তা প্রকল্পের প্রভাব” বিষয়ের এক আলোচনা সভায়।
সভায় সিপিডির গবেষনা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সাহায্যের জোগান দেওয়া হয়, দাতা সংস্থাগুলোর পছন্দের প্রকল্পে, যেখানে নানা রকম শর্তও যুক্ত থাকে। তাছাড়া অর্থের পরিমানও পর্যাপ্ত নয়। এ কারণেই প্রত্যামিত সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না।’
এছাড়াও, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসারেও নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলছে বলে মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে সরকারের অনেক নীতিই ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
বর্তমানে বাংলাদেশের চলতি হিসাবে যে উদ্বৃত্ত আছে তাকে ইতিবাচক মনে করেন না বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ। পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সাথে জটিলতা তৈরির পর, উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে কোন সভা না হওয়ারও সমালোচনা করা হয় অনুষ্ঠানে।
শুধু কোন বিশেষ শ্রেণী বা ব্যবসায়িক গোষ্ঠী নয়, দেশের সকল নাগরিকের সুষম উন্নয়নে কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারে এমন বাণিজ্যনীতির ওপর গুরুত্ব দেন আলোচকরা।

                                            














                                    
                                    
                                    
                                    






